বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সুবিধাদি আইনের অনুমোদন

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৪০

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৮ সালের ১২ জুলাই আইন ও বিচার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মাসে ১৬ হাজার টাকা করে কুক অ্যালাউন্স ও সিকিউরিটি অ্যালাউন্স দেয়া হয়। এটা আগের আইনে ছিল না। এসব বিষয়াদি আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতির নিয়ামক ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা, এবং কুক অ্যালাউন্স ও সিকিউরিটি অ্যালাউন্স বাড়ানো হলেও সেগুলোর আইনিভিত্তি ছিল না। এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধাদি) আইন, ২০২১’ -এর খসড়ার নীতিগত এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এটা অ্যাকচুয়েলি ২০১৩ সালে কোর্টের যে রায় ছিল, সামরিক শাসনের যে অধ্যাদেশগুলো, সেগুলো আইনে পরিণত করা। এটাকে জাস্ট ইংরেজি থেকে বাংলা করে নিয়ে আসা হয়েছে। সেজন্য এটা ক্যাবিনেট একেবারে পুরোটাই (চূড়ান্ত) অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে ভেটিং সাপেক্ষে পার্লামেন্টে পাঠাতে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৮ সালের ১২ জুলাই আইন ও বিচার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মাসে ১৬ হাজার টাকা করে কুক অ্যালাউন্স ও সিকিউরিটি অ্যালাউন্স দেয়া হয়। এটা আগের আইনে ছিল না।

এ ছাড়া, ২০১৯ সালের ৩ জুন প্রধান বিচারপতির নিয়ামক ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে উন্নীত করে ২৫ হাজার টাকা করা হয়। আর এ ভাতা হাইকোর্টের বিচারকদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং আপিল বিভাগের বিচারকদের জন্য আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয় বলেও জানান সচিব।

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, তারা সুবিধাগুলো পেয়ে আসলেও আইন ছিল না। তাই আইন ও বিচার বিভাগ থেকে আনা প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ-ভাতা) আইন, ২০২১’

বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ-ভাতা) আইন, ২০২১’ এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত দেয়া হয়েছে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এটাও অধ্যাদেশ ছিল। এটাকেও বাংলা করা হয়েছে। এটাতেও নতুন কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, আগে যেটা ছিল সে অনুযায়ীই। এটাকেও পুরো অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

পরিবর্তন বা সংশোধন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে শুধু ছোটোখাট সংশোধন হয়েছে। যেমন আগে বোধয় দৈনিক ভাতা ৫০০ বা সাড়ে ৫০০ টাকা ছিল, সেখানে ১৪শ টাকা করা হয়েছে। গাড়ি ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা সামথিং ছিল, এটাকে তিন টাকা করা হয়েছে।’

‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (সংশোধন) আইন, ২০২১’

এ ছাড়া বার কাউন্সিল অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করতে একটি আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (সংশোধন) আইন, ২০২১’ শীর্ষক এ খসড়া আইনের অনুমোদন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কিছু দিন আগে বার কাউন্সিলের অধ্যাদেশ করা হয়েছিল। কারণ, যদি কোনো কারণে টাইম ওভার হয়ে যায় তখন কী করবে, সেটার কোনো বিধিবিধান ছিল না। সেজন্য বার কাউন্সিল অধ্যাদেশ হিসেবে এটি নিয়ে আসা হয়েছিল।’

করোনা মহামারি বা বিশেষ কোনো কারণে যদি বার কাউন্সিল নির্বাচন করা না যায়, তাহলে এক বছরের জন্য একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করার বিধান রেখে এই অধ্যাদেশ আনা হয়। যেখানে, অ্যাডহক কমিটি এক বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে বিজয়ীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে।

সচিব বলেন, ‘অধ্যাদেশ করলে পার্লামেন্ট শুরু হলে এক মাসের মধ্যে সেটাকে আইনে পরিণত করতে হয়, নইলে সেটা বাদ হয়ে যায়। তখন আরেকটি সংকট তৈরি হবে। সেজন্য উনারা এটা নিয়ে এসেছে। সেটা ক্যাবিনেট পুরোপুরি অনুমোদন করেছে।’

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদ অধিবেশন শুরু হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘আসন্ন সংসদ অধিবেশন চলাকালীন এটাকে অনুমোদন করে ফেলতে হবে, নইলে বাতিল হয়ে যাবে। সেজন্য এটার ফাইনাল অনুমোদন দিয়ে দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর