ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ও মিসর। ১ নভেম্বর থেকে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালাবে মিসরের জাতীয় পতাকাবাহী ইজিপ্ট এয়ার। বাংলাদেশে তাদের সহযোগী হবে আলো ঢাকা এভিয়েশন।
কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮ আগস্ট সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার চুক্তি সই হয়।
ইজিপ্ট এয়ারের পক্ষ থেকে মোহামেদ ওয়েল ইদিমারদেশ ও আলো ঢাকা এভিয়েশনের পক্ষ থেকে সৈয়দ আলী সামি চুক্তিতে সই করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কায়রো সময় প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে ফ্লাইটটি। পরের দিন বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে এটি।
একইভাবে প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে পরের দিন স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কায়রোয় পৌঁছাবে ফ্লাইটটি।
এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ বা অন্য কোনো নতুন এয়ারক্রাফটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইজিপ্ট এয়ার। বিমানে ২০টি বিজনেস ক্লাসসহ মোট ২৮০ আসন থাকবে। যাত্রীর পাশাপাশি ৬ টন সাধারণ কার্গো পরিবহন করতে পারবে বিমান সংস্থাটি।
ঢাকা-কায়রো-ঢাকার রাউন্ড ট্রিপের ইকোনমি ক্লাসের টিকিটের দাম শুরু হবে ৬৬০ ইউএস ডলারে। বিজনেস ক্লাসের টিকিটের দর শুরু ১ হাজার ৫০০ ডলার থেকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাগামী বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য কায়রোকে দুবাই ও ইস্তাম্বুলের বিকল্প ভাবছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মিসরের পর্যটন বিকাশেও এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইজিপ্ট এয়ার ঢাকা থেকে মিসরের সরাসরি যাত্রী ছাড়াও প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জেনেভা, বার্সেলোনা, এথেন্স, ইস্তাম্বুল, দারুস সালাম, আদ্দিস আবাবা, আবুজা, নাইরোবি, আক্রা, কাম্পালা, নিগলি, খার্তুম, এন’ডিজামনা, বৈরুত, জেদ্দাহ, মদিনা, দাম্মাম, বাহরাইন, রিয়াদ, দুবাই, আম্মান, টরন্টো, নিউ ইয়র্কগামী ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দেশের পর্যটন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে ঢাকা-কায়রোর সরাসরি বিমান চলাচল।