সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।
রোববার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানকে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
দুদক সচিব বলেন, ‘কারা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।’
তিনি জানান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অধীনস্ত ও আশীর্বাদপুষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে নিয়োগ, টেন্ডার ও মাদক বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করা এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা দেশের বাইরে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেননি।
এর আগে চট্টগ্রাম কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে সাবেক এই কারা প্রধানকে ২০১৯ সালের ২৫ অগাস্ট প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তখন একজন পরিচালক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইফতেখারুল ইসলাম অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) ছিলেন।
দুদক পরিচালকের প্রশ্নের জবাব দিয়ে বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, দুটি দুর্ঘটনা ঘটল। সেগুলোর কারণে উনারা (দুদক) তদন্ত করছেন। সেটা তদন্ত করে দুদক মতামত দেবে। মূলত তাদের ব্যাপারে আমার কী কথাবার্তা আছে, আমি সেগুলো বলেছি।’
চট্টগ্রাম কারাগারের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারাকে ‘ব্যর্থতা’ হিসেবে স্বীকার করে সাবেক এই কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘সংস্থার প্রধান হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না। এটা আমার প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলা যেতে পারে।’