সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার থেকে হাইকোর্টে আগাম জামিনের দরজা খুলেছে। আর এদিনই দেখা গেল আগাম জামিনের আবেদনের হিড়িক।
করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম সীমিত থাকায় এতদিন বন্ধ ছিল আগাম জামিনও। রোববার থেকে খুলেছে সেই দরজা। প্রথম দিনেই ১ হাজার ৩০০-এর বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট প্রশাসন।
ভার্চুয়াল কোর্ট থাকায় আগাম জামিনের আবেদন কীভাবে শুনবেন, সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত বলেছে, আগাম জামিন আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারীকে মামলার এফআইআরের ফটোকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি যুক্ত করতে হবে। আবেদনকারীকে তার মূল জাতীয় পরিচয়পত্রটি শুনানির আগের দিন আদালতে জমা দিতে হবে এবং সেটি তিনি শুনানির পরে ফেরত পাবেন।
আর জামিন আবেদনের শুনানির সময় আইনজীবীর চেম্বারে বসেই আবেদনকারী ভার্চুয়াল আদালতে যুক্ত হয়ে নিজেকে প্রদর্শন করতে পারবেন। এ ছাড়া ভিড় কমানোর জন্য একটা আবেদনে একসঙ্গে পাঁচজন জামিন আবেদন করতে পারবেন এবং শুনানির দিন একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সংশ্লিষ্ট কোর্টে অ্যাসাইন থাকবেন।’
এ সময় আদালত আরও বলে, কোনো মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে ক্ষেত্রে আগাম জামিন শুনবেন না।
গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। লকডাউন ঘোষণা করা হয় সারা দেশে। তখন বন্ধ হয়ে যায় আদালতও। পরে অবশ্য সীমিত পরিসরে আদালতের বিচারকাজ চললেও আগাম জামিনের দরজা ছিল বন্ধ।
গত ১৭ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে আগাম জামিন চালু করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।