পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় চট্টগামের বাঁশখালীতে মো. ইশান নামে শিশুর অঙ্গহানির ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মো. শামছুল ইসলাম শিমুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী শামসুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।’
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জ্বালানিসচিব, পল্লী বিদুতের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে এ আইনজীবী জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার কাথুরিয়া গ্রামের মো. ইব্রাহীমের ছেলে মো. ইশান গত বছরের ৪ মার্চ বিদ্যুতায়িত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ওইদিনই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির ডান হাত, বাম পা ও পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
রিটের কারণ উল্লেখ করে আইনজীবী বলেন, শিশুটির বাড়ির ছাদে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি হেলে পড়ে। এ খুঁটি সরাতে বিভিন্ন সময় পল্লী বিদ্যুতের বাঁশখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ে বলা হয়। সবশেষ গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি আঞ্চলিক কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়। লিখিত আবেদনের পরেও পল্লী বিদ্যুৎ খুঁটি সরায়নি। এর মধ্যে গত বছরের ৪ মার্চ ছাদে গিয়ে শিশু ইশান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
আইনজীবী শামসুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিভিন্ন সময় চিঠি দেয়া হয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে। এরপর গত ১৩ আগস্ট আইনি নোটিশ দেয়া হয়, কিন্তু তাতে তারা কোনো জবাব দেয়নি। পরে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট দায়ের করি। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে আজকে এ আদেশ দেয়।’