বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উত্তরের মহাসড়ক বদলে দিতে দুই চুক্তি সই 

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৪৩

সাসেক ২ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড। এছাড়া, হাটিকুমরুল মোড়ে ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। এজন্য চুক্তি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ যেতে সড়কপথে আর ভোগান্তি থাকছে না। সাসেক রোড কানেক্টিভিটি প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন হলে মহাসড়কটি উন্নীত হবে চার লেনে। এতে নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচলের আশা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

প্রকল্পের দুটি প্যাকেজ এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনকরণ এবং হাটিকুমরুলে একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রোববার সকালে চুক্তি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মোট ১৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড। প্যাকেজটির চুক্তিমূল্য ৬০১ কোটি ১১ লাখ টাকা।

একই সঙ্গে হাটিকুমরুল মোড়ে ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। এই প্যাকেজটির চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৭৪৩ কোটি টাকা ২৮ লাখ টাকা।

দুটি প্যাকেজ বাস্তবায়নেরই মেয়াদ ধরা হয়েছে ৩ বছর। এর সঙ্গে যুক্ত হবে এক বছরের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড (ডিএলপি)। এ ছাড়া প্রকল্পটি ছয় বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও থাকবে ঠিকাদারের।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ মনে করছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়বে। সাসেক-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. ওয়ালিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুটি প্যাকেজের চুক্তি সই হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে ডব্লিউবি জিরো ফাইভ, এতে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার রাস্তা দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীতকরণ। এতে আরও আছে আটটি ব্রিজ, একটি ফ্লাইওভার এবং ১০টি কালভার্ট।’

তিনি বলেন, ‘এই প্যাকেজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটি একটু দেরি করেই আমরা শুরু করতে পারলাম। এর কারণ হলো, আগের যে কনট্র্যাক্ট ছিল সেগুলো বিভিন্ন কারণে ক্যান্সেল করতে হয়েছে।’

তিনি জানান, কাজটি যাতে দ্রুত শেষ করা হয় সে জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দ্বিতীয় প্যাকেজটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আরেকটি প্যাকেজ ডব্লিউবি থার্টিন, এটিরও চুক্তি হয়েছে। চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এটি সম্পন্ন করবে। এটির মূল্য হচ্ছে ৭৪৩ কোটি টাকা ২৮ লাখ টাকা। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, হাটিকুমরুল মোড়ে সব সময় যানজট লেগে থাকে, বিশেষ করে উৎসবের সময়।

‘দুই ঈদেই আমরা দেখি এই মোড়টিতে প্রচণ্ড যানজট তৈরি হয়। সেখানে একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা হলে যানবাহন নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা হচ্ছে, এ দুটি প্যাকেজই ঠিকাদার সময়ের আগেই শেষ করে দেবে। একই সঙ্গে মানুষ যেন এই নির্মাণ কাজের জন্য ভোগান্তিতে না পড়ে সেটিও আমরা নিশ্চিত করতে বলেছি। নির্মাণ কাজের সময়েও যেন মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে বিষয়টিতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুদ্দিন মোনেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক একটি প্রজেক্ট। এর মাধ্যমে সাসেক ২ এর অন্য নয়টি প্যাকেজ যে আছে তারা মিলে একসঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি তৈরি করবে। একই সঙ্গে ভারত ও নেপালের সঙ্গেও এটি যুক্ত হবে।

‘আমরা সময় মতোই কাজটি শেষ করার চেষ্টা করবো। যদিও কোভিডের কারণে আমাদের অনেকগুলো প্রকল্পই পিছিয়েছে, কিন্তু আমরা টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে আগের যে গ্যাপ হয়েছে সেগুলো ঠিক করে ফেলব। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা আশা করি, উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে যাবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থান। এই সঙ্গে আমাদের চেষ্টা থাকবে এই নির্মাণ কাজের সময় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যতটুকু কমানো যায়।’

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে মোট ১১ ভাগে কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৬৬২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) দিচ্ছে ১১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা আর সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৫ হাজার ৩৬ কোটি।

এ বিভাগের আরো খবর