বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোরীকে বিয়ে: সেই চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিতই থাকছে

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৫:১২

প্রেমসংক্রান্ত সালিশে গিয়ে নিজেই এক কিশোরীকে বিয়ে করে বসেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। এ ঘটনায় গত ২৮ জুন তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

প্রেমসংক্রান্ত সালিশ করতে গিয়ে এক কিশোরীকে বিয়ে করা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের দেয়া বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশে গিয়ে নিজেই এক কিশোরীকে বিয়ে করে বসেন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। এ ঘটনায় গত ২৯ জুন তাকে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

সরকারের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। তার সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৭ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেয়। করোনার কারণে তখন সীমিত পরিসরে কোর্ট চলায় নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত এ আদেশ দেয়া হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় রোববার মামলাটি ফের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এদিন আদালত স্থগিতাদেশ বহাল রাখার পাশাপাশি রুল জারি করে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও বাউফল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৮ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহীন হাওলাদার সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ করেছেন।

চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

চলতি বছরের ২৪ জুন প্রেমের টানে এক কিশোরের সঙ্গে বাড়ি ছাড়ে কিশোরী। ওই মেয়ের বাবার নালিশ পেয়ে চেয়ারম্যান শাহীন সালিশ ডাকেন।

সেই সালিশে বসার পর মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায় ৬০ বছর বয়সী চেয়ারম্যান শাহীনের। তখন তিনি ওই কিশোরীকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন।

এ ঘটনায় তুমুল সমালোচনার পরদিন চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে ওই কিশোরী বাড়িতে ফিরে যায়। তালাকের ব্যবস্থা নিজেই করেছিলেন বলে দাবি চেয়ারম্যান শাহীনের।

গণমাধ্যমে ঘটনাটি দেখে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কি না, তা তদন্ত করতে গত ২৭ জুন জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া পুরো ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয় আদালত। এসবের প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেও বলা হয় আদেশে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর