বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি ‘চটজলদি’

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৪:১২

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বরিশালের বিষয়টা একান্তই স্থানীয়। সেখানে ত্বরিত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টা তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটেছিল। তার আগে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’

বরিশাল ইস্যুতে তদন্তের আগে কাউকে অভিযুক্ত বা কোনো মন্তব্য করতে চান না তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তবে এই ইস্যুতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিকে ‘চটজলদি’ হিসেবেই দেখছেন তিনি।

সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বরিশাল ইস্যুতে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বরিশালের বিষয়টা একান্তই স্থানীয়। সেখানে ত্বরিত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টা তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটেছিল। তার আগে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’

এ ঘটনায় বরিশালের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলা দুটিতে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা স্থানীয় ঘটনা, বিচ্ছিন্ন বিষয়। মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটি প্রথম নয়, বহু মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলেই সেটা তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে কিছু বলা আমার মনে হয় সমীচীন নয়। অভিযোগ দায়ের হতে পারে, অভিযোগ সঠিক কি না সেটা তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিবৃতি দেয়ায় কোনো সংকট তৈরি হয়েছে কি না জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সংকট নেই। তবে অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি চটজলদি হয়েছে।’

পরে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি তথ্যমন্ত্রী।

এ সময় বিএনপির রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেন ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে, বিধায় খালি কলসি বেশি বাজে না? বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কথাবার্তা সে রকম। খালি কলসি বেশি বাজে। কথা বলার মধ্যে তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘বিএনপির পেছনে লেলিয়ে দেয়ার’ যে অভিযোগ দলটির নেতা-কর্মীরা করছেন সেটাও অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে তো অনেক দুষ্কৃতি আছে। পেট্রোলবোমা যারা নিক্ষেপ করেছিল তারা আছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির কেউ যদি ব্যক্তিগত অপরাধে বা ব্যক্তিগত নৈতিক স্খলনের কারণে গ্রেপ্তার হয়, রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয় বরং ফৌজদারি অপরাধে যখন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, দেখা যাচ্ছে সেটিকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার বিএনপি চেষ্টা করে। এটা সমীচীন নয়।’

যেভাবে সংঘর্ষ শুরু

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে ১৮ আগস্ট রাতে শোক দিব‌সের ব্যানার খুলতে যান ব‌রিশাল সি‌টি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে ইউএনও মু‌নিবুর রহমানের সঙ্গে সি‌টির প্রশাস‌নিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা-কাটাকা‌টি হয়।

প্রশাস‌নিক কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লী‌গের নেতা-কর্মীরা ওই সময় ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জ‌ড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে উপ‌স্থিত আনসার‌ সদস্যদের সঙ্গে হাতাহা‌তি শুরু হলে উপ‌স্থিত আওয়ামী লী‌গ, যুবলীগ ও ছাত্রলী‌গের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালান। এ সময় আনসার সদস্যরা গু‌লি ছুড়লে প্রশাস‌নিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন আহত হন।

সংঘর্ষের পর ইউএনও কার্যালয়ের সামনে পু‌লিশ অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ফের ইউএনওর বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন।

এ সময় পু‌লিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মী‌দের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।

সে ঘটনায় পরে ইউএনও ও পুলিশ পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে।

এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকজন কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে রোববার সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলার আবেদন করেছেন সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর