বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আল্লাহ হাতে তুলে বাঁচিয়েছে: শেখ হাসিনা

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২১ ১২:৪২

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটার পর একটা গ্রেনেড। আমি দেখলাম রক্ত। তিনটা ফোটার পর কয়েক সেকেন্ড, তারপর আবার। মনে হচ্ছে শেষ নেই। এ যেন কেয়ামতের মতো। আল্লাহ কীভাবে যেন হাতে তুলে বাঁচাল...’

১৭ বছর আগে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার দিবসে ওই ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানালেন, ওই দিন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা তাকে নিজ হাতে বাঁচিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সকালে ২১ আগস্ট বোমা হামলার দিন স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগস্ট মাসটা শুধুই আসে আমাদের জন্য যেন শোক আর কষ্টের বার্তা নিয়ে। ১৫ আগস্ট হারিয়েছি বাবা, মা, ভাই, পরিবার পরিজনকে। আগস্ট মাসটা আসেই যেন একটা শোক, ব্যথা, বেদনা নিয়ে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা দখল করল। তাদের অত্যাচারটা যেন শুরু হয়েছিল ১ অক্টোবর থেকেই। অথবা আমি বলব, জুলাই মাসে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করলাম তার সাথে সাথেই। তারা একটা অদৃষ্ট শক্তির বলয়ে তাদের মধ্যে দুর্বৃত্তায়ণ শুরু হলো। আমাদের সামরিক-অসামরিক অনেক অফিসার, তাদের ওএসডি করা, চাকরিচ্যুত করা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীর উপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন শুরু করল।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসল শুরু হলো সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকমীদের ওপর আক্রমণ। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা, গ্রেপ্তার করা, গুম করে ফেলা, নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছিল, ঠিক একই কায়দায় সে নির্যাতন শুরু করল।

‘এর এক পর্যায়ে হত্যা নির্যাতন জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শান্তির পক্ষে আমরা একটা র‍্যালি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা চেয়েছিলাম মুক্তাঙ্গনে করতে, কিন্তু বিএনপি সরকার অনুমতি দেয়নি। যখন অনেকবার চেষ্টা করেও হলো না তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আওয়ামী লীগ অফিসের সামনেই করব।’

সমাবেশের প্রস্তুতি তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘পোস্টার করা হলো, পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ আমরা দিলাম। পুরো ঢাকা ও বাংলাদেশে এটা প্রচার করা হলো। ঠিক রাত সাড়ে ১১টা-১২ টার দিকে একটা পারমিশন আসলো যে মুক্তাঙ্গনে করা যাবে। পরের দিনই র‍্যালি। আমরা বললাম, আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আমাদের মাইক টাইক লাগানো হয়ে গেছে সেখানেই করব।

‘কারণ হঠাৎ করে এই পরমিশন দিলো কেন? রহস্যটা কি? আমরা শুরু থেকেই সন্দিহান ছিলাম, কিন্তু এভাবে যে প্রকাশ্য দিবালোকে আর্জেস গ্রেনেড মেরে হত্যা প্রচেষ্টা চালাবে এটা কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘তার আগে কিন্তু খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিয়েছে। আমার নাম ধরেই দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলের নেতাও কোনোদিন হতে পারব না। এর আগে কোটালি পাড়ায় বোমা যখন পোতে তার আগে বলেছিল একশ বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কাজেই আমরা তারপরেও সেখানে র‍্যালি করতে গেলাম।’

‘গায়ে শুধু রক্ত পড়ছে’

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় আওয়ামী লীগের সমাবেশ। সেই হামলার মূল উদ্দেশ্যই ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আলোচনা সভায় শেখ হাসিনার বর্ণনায় ১৭ বছর পরও জীবন্ত হয়ে সেই মুহুর্ত।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ট্রাকেই মঞ্চ করা হয়েছে। আমি উঠে বক্তৃতা দিলাম। মাইকটা রাখতে যাব, এ সময় আমাদের ফটো সাংবাদিক গোর্কি সে এসে বলল, আমি তো ছবি নিতে পারিনি। সাংবাদিকরা সব ট্রাকেই চালকের উপরের ছাদে বসা। ওরাও চিৎকার শুরু করল, আপা ছবি নিতে পারিনি, একটা মাইকটা ধরেন। মাইকটা তখনও আমার হাতে।

‘আমি নিচে নামছিলাম, থমকে দাঁড়ালাম। এর মধ্যেই গ্রেনেডের আওয়াজ। সাথে সাথে আমাকে, হানিফ ভাই পাশেই দাঁড়ানো ছিল। হানিফ ভাই ওইদিন বারবার কেন যেন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। আমি বলছিলাম, আমি তো কাউকে দেখতে পারছি না, আপনি একটু সরেন। তো আমাকে বলছিল, না আমি এখানেই দাঁড়াব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (হানিফ) সাথে সাথে আমাকে ধরে ফেললেন। আমার সাথে মামুন ছিল, আশে পাশে যারা ছিল আমাকে পুরা ঘিরে ধরল। একটার পর একটা গ্রেনেডের আওয়াজ হচ্ছে। আমি তখন বসা, বারবার ওঠার চেষ্টা করছি কিন্তু আমাকে উঠতে দেয়নি। আমার চশমাটা কোথায় ছিটকে পড়ে গেল। আমি দেখলাম আমার গায়ে শুধু রক্ত পড়ছে।

‘অর্থাৎ ওই যে স্পিন্টারগুলি সব হানিফ ভাইয়ের মাথায়, তার গায়ে লাগছে। যেহেতু সে ধরে রেখেছে, আমার শরীরে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তিনটা ফোটার পর কয়েক সেকেন্ড, তারপর আবার। মনে হচ্ছে এর শেষ নেই। এ যেন কেয়ামতের মতো। চারিদিকে ধোঁয়া এবং সেই অবস্থা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক জানি না আল্লাহ কীভাবে যেন হাতে তুলে বাঁচাল। আমার গায়ে একটা স্প্রিন্টারও আর লাগেনি। কিন্তু আওয়াজে যে ক্ষতিটা হয়েছিল, ডান দিকের কানটা দিয়ে আমি শুনতে পাইনি। সেই ট্রাকে অনেকেই আহত হয়েছে। সিঁড়িতে যারা দাঁড়িয়েছিল তারা আহত।

‘একটা পর্যায়ে যখন থামল, আমি উঠে দাঁড়ালাম। ওরা ভেবেছে আমি মনে হয় আহত। কারণ, আমার সারা শরীর তো রক্তাক্ত। আমি বললাম না আমার তো কিছু হয়নি। দেখলাম হানিফ ভাই পুরো মাথা রক্তাক্ত। ওখানে যারা ছিল সবাই, ওনার ছেলে খোকনসহ আমাদের যারা ছিল প্রত্যেকেই আহত।’

‘গুলিতেই মারা গেল মাহবুব’

সেদিন শুধু গেনেড হামলা করেই আক্রমণকারীরা খান্ত হয়নি। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন তার দেহরক্ষী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমি গাড়িতে উঠতে যাব, দরজা খুলে মাহবুব দাঁড়ানো। তখনই গুলি আসলো। সেই গুলিতেই কিন্তু মাহবুব মারা গেল। আর কয়েকটি গুলি আমার গাড়িতে লাগলো। যখন আমি গাড়িটা ঘুড়িয়ে জিরো পয়েন্টের কাছে তখন আমি শুনছি হৈ চৈ আওয়াজ। গাড়ি কিন্তু একটানে চালিয়ে নিয়ে আসলো।

‘পরে জানলাম ওখানে এই আহত অবস্থায় মানুষ যখন পড়ে ছটফট করছে তখন পুলিশ বা কেউ কিন্তু এগিয়ে আসেনি সাহায্যের জন্য। উল্টো পুলিশ এসে লাঠি চার্জ শুরু করল। আমাদের এক মহিলাকর্মী আহত অবস্থায়, তার স্বামী এসেছে তাকে লাথি মেরে পুলিশ বের করে দিচ্ছে। সেখানে লাঠিচার্জ আর টিয়ারগ্যাস মারতে শুরু করল। ওই গ্যাসেই তো আরও অনেকে অসুস্থ। তার মানেটা কি? যারা আক্রমণকারী, এদের রক্ষা করতেই এই টিয়ারগ্যাস মারা। সরকারের যদি সহযোগিতা না থাকে তাহলে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার গাড়িটা যখন ৫ নম্বরে সুধাসদনে ঢুকলো, সাথে সাথে পুরো গাড়িটা বসে গেল। আমি যখন নামছি রেহানা ছিল, ও তো চিৎকার। আমি বললাম, আমার কিছু হয়নি। হানিফ ভাই আমাকে ধরেছিল, তার মাথা-শরীরে সব স্প্রিন্টার তার রক্তই আমার গায়ে।

‘ওখানে দাঁড়িয়েই আমি খোঁজ নিতে চেষ্টা করলাম। সাথে সাথে আমাদের ড্রাইভার আলী হোসেন আর শাহজাহানকে পাঠালাম। যতদূর পারো হাসপাতালে নিয়ে যাও।’

‘বিএনপিমনা ডাক্তাররা কেউ ছিল না’

প্রধানমন্ত্রী জানান, সেদিন হামলার পর আহতদের যখন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় তখন বিএনপিমনা চিকিৎসকরা কেউই ছিলেন না।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়, যারা বিএনপিমনা ডাক্তার তারা কেউ ঢাকা মেডিক্যালে ছিল না। আর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আহতকে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। বলেছে, এখানে ইমারজেন্সিতে কেউ চিকিৎসা নিতে পারবে না।

‘আমাদের ডাক্তার রোকেয়া আইভি রহমানসহ প্রায় ৭০ জনকে সে একা এনাস্থেশিয়া দিয়েছে। এভাবেই আমাদের মাইন্ডের যারা তারা ছুটে এসেছে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করেছে। লাইন ধরে রোগী। যেভাবে পেড়েছে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মী যারা ছিল সবাই সাহায্য করল, ছুটে গেল চিকিৎসা দিতে। যারা মৃত তাদের লাশগুলো মেডিক্যাল কলেজে, তাদের লাশগুলোও আত্মীয়দের দেবে না। কিছুতেই দেবে না। পরে বাধ্য হয়ে ভোর রাতে এক এক করে দিতে শুরু করল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি শুনেছি, সে সময় এক ডিজিএফআই অফিসার সেখানে ডিউটিরত ছিল। হামলার পর সে হেডকোয়ার্টারে ফোন করে। তখন তাকে ধমক দেয়া হয়। দু একজন পুলিশ অফিসার যারা জানতো না, তারা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ফোন করে তাদেরকেও ধমক দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা করতে দেয়া হয়নি বলে জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন পার্লামেন্টে গেলাম। এ বিষয়টি তোলার চেষ্টা করলাম। কিছুতেই এ ব্যাপারে কথা বলতে দেবে না। একটা শোক প্রস্তাব আমরা দিলাম সেটা প্রত্যাখ্যান করা হলো। আমরা যারা কথা বলতে চেয়েছি আমাদের মাইক দেয়া হলো না। খালেদা জিয়া নিজেই দাঁড়িয়ে বললো, ওনাকে আবার কে মারবে? উনি তো নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন।

‘তা আমি বললাম, আমার হাতে তো ভ্যানিটি ব্যাগও ছিল না, কিছুই ছিল না। আর আমি কবে এই আর্জেস গ্রেনেড মারায় এক্সপার্ট হয়ে গেলাম তা তো জানি না। আমরা কী সুইসাইড করতে গিয়েছিলাম ওখানে। আইভি রহমানকে সবাইকে নাকি আমিই গ্রেনেড মেরেছি, এধরনের কথা।’

আহতদের চিকিৎসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সাহারা আপাকে পেলাম, শান্তিনগরের ওদিকে একটা হাসপাতালে মৃতপ্রায়। তাকে তাড়াতাড়ি তুলে নিয়ে এসে বাংলাদেশ মেডিক্যালে আমরা ভর্তি করলাম। বিভিন্ন জায়গা থেকে আহতদের নিয়ে আসা, তাদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

‘আমি সত্যিই ধন্যবাদ জানাই, আমাদের যে ডাক্তার, তারা দিনরাত জান দিয়ে খেটেছে এবং আমাদের আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সবাই ছুটে এসেছে, রক্ত দিয়েছে, আর্থিক সহায়তা করেছে। পরে দেশে বিদেশে পাঠিয়েও রোগীদের চিকিৎসা আমরা করিয়েছি। এখনো অনেকের চিকিৎসা করতে হচ্ছে।’

‘আলমত নষ্টের চেষ্টা’

হামলার ঘটনা থেকে নজর সরাতে আলামত নষ্টের চেষ্টাও করা হয় বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র। প্রকাশ্য দিবালোকে একটা জনসভায় আর্জেস গ্রেনেড যারা মারতে পারে, শুধু তাই না, সাথে সাথে সেখানে রক্ত, জুতা সব পড়ে আছে। তখনও একটা গ্রেনেড সেখানে ফাটেনি। সেটাও পড়ে আছে। সেটা যখন উদ্ধার হলো, একজন আর্মি অফিসার বলল যে এটাকে আলামত হিসেবে রাখতে হবে।

‘তাকে ধমক দেয়া হলো পরে তার ওপর অনেক নির্যাতনও করেছে। সেটাও ধ্বংস করে দেয়া হলো। পানি দিয়ে সব ধোয়া শুরু করল, তখন আমি নানক-আজমকে বললাম, ওখানে আলামত নষ্ট করে দিচ্ছে যতদূর পারো রক্ষা করো। যেসব জায়গায় গ্রেনেডগুলো ছিল, ওরা লাল পতাকা দিয়ে জায়গাগুলো চিহ্নিত করল। এই কাজগুলো কাদের? এগুলোতো সরকারের। পুলিশ কিন্তু তা করেনি। আলামতও তারা রাখতে পারেনি। এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘পরে যখন চারদিকে সমালোচনা, তখন সাবেক একজন জজসাহেবকে দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হলো। সেখানে তারা আবিস্কার করল, পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এভাবে দিনে দুপুরে যদি এটা করতে পারে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করছিল? তাহলে তারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে কীভাবে? এভাবে তারা সমস্ত দৃষ্টিটা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করল।

‘তারপরেও সমালোচনা ও দাবির মুখে প্রথমে একটি ছেলেকে পড়ে আওয়ামী লীগের একটি ছেলেকে গ্রেপ্তার করল। বলা হলো এই হামলায় তারা জড়িত। আমি বললাম কখনই এটা হতে পারে না। দিনের পর দিন তাদের অত্যাচার করে নাম নেয়ার চেষ্টা করা হলো। উদ্দেশ্য ছিলো তাদের দিয়ে স্বীকার করাবে, এটা দলীয় কোন্দল। এরপর নোয়াখালীর জজ মিয়াকে টাকা পয়সা দিয়ে এক কাহিনী রচনা করল।’

এ বিভাগের আরো খবর