বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে নেয়া হয়েছে। তবে জামিন শুনানি হবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
একটি সাদা রঙের হায়েস মাইক্রোবাসে করে তাকে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে আনা হয়। এরপর পরীমনিকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের গারদখানায় রাখা হয়।
শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে পরীমনিকে রিমান্ড ফেরত হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিআইডি কার্যালয় থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পরীমনিকে সরাসরি ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়।
বেলা আড়াইটার দিকে আলোচিত এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন বনানী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর।
মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে পরীমনির রিমান্ড-ফেরত শুনানি হবে। তবে এ সময় জামিন শুনানি হবে না বলে জানান পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান।
সিএমএম হাকিম আশেক ইমামের আদালতে তার শুনানির অনুষ্ঠিত হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিকে কারাগারে আটক রাখার জন্য আবেদন করেছেন।
আবেদনে তিনি বলেন, আসামির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব তথ্য যাচাইয়ের স্বার্থে ও আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ জন্য তাকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীমনিকে কারাগারে আটকে রাখার কথা জানান।
পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, তারা আজ পরীমনির জামিন আবেদন করবেন না। তবে তাকে যেনো আদালতে তোলা হয় এবং তার উপস্থিতিতে আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে একটি আবেদন করে তারা শুনানি করবেন।
পরীমনিকে রিমান্ড-ফেরত আদালতে আনার খবরে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সিএমএম আদালত ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বৃহস্পতিবার পরীমনির তৃতীয় দফা রিমান্ড শুনানির সময় আদালতের ভেতরে ও বাইরে আইনজীবী, সাংবাদিক ও উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল অনেক, যা সামাল দিতে পুলিশ সদস্যদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
এমনকি সেদিন আদালতের শুনানি শেষে নিচে নামার পর গারদখানার সামনে উৎসুক মানুষের ধাক্কায় দুই নারী পুলিশ সদস্যকে নিয়ে পড়ে যান পরীমনি।
৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব। রাতে র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরের দিন বনানী থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয় পরীমনির নামে। সেদিনই তাকে আদালতে নিয়ে প্রথম দফায় রিমান্ড নেয় পুলিশ।