পদ্মায় তীব্র স্রোত ও পানি বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ও জটের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে একই কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার দুপুর থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় এমন চিত্র। ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় বর্তমানে ঘাট এলাকায় তিন শতাধিক যানবাহন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেশি বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ সময় ফেরি পারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি কাজে নিয়োজিত পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকে। পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনাল ও ঘাটের আশপাশে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সিরিয়াল করে রাখা হয়েছে। সিরিয়াল অনুযায়ী এদের পার করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘাটে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীবাহী বাস ও জরুরি কাজে নিয়োজিত পরিবহন এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী অন্য পরিবহন পারাপার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তাছাড়া নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। সময় বেশি লাগায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।’
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রলারযোগে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা
এদিকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে এসে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। শিমুলিয়া তিন নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে বৃহস্পতিবার সকালে ট্রলারযোগে যাত্রীদের পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
বরিশালের উদ্দেশে ঘাটে আসা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘ফেরি বন্ধ। তো কী করব, মোটরসাইকেলসহ পদ্মা পাড়ি দিতে হবে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে। ঢেউ আর স্রোত থাকলে কিছুই করার নাই। ৬০০ টাকায় হোন্ডা পারাপার করতে হবে। সঙ্গে ফ্যামিলির জন্য আলাদা ভাড়া।’
আরেক যাত্রী আহমেদ আফতাব বলেন, ‘মাঝির কান্দি যাব। শিমুলিয়া ঘাটে এসে দেখে ফেরি বন্ধ। কী করব বুঝতাছি না। পদ্মা পাড় করাতে অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে।’