বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীরকে ফের ‘তিরস্কার’ সরকারের

  •    
  • ১৮ আগস্ট, ২০২১ ১৮:০৫

বিধিবহির্ভূতভাবে সংবাদমাধ্যমে উদ্বৃতি দেয়ার অভিযোগে বিভাগীয় মামলার দণ্ড হিসেবে তাকে ‘তিরস্কার’ করা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

অসদারণের অভিযোগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব কবীর মিলনকে আবার তিরস্কার করল সরকার।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখেন মাহবুব কবীর। এ কাজে প্রশংসিত হন সব মহলে।

স্পর্শকাতর বিষয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে সংবাদমাধ্যমে উদ্বৃতি দেয়ার অভিযোগে বিভাগীয় মামলার দণ্ড হিসেবে তাকে ‘তিরস্কার’ করা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, মাহবুব কবীর রেলপথ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনের সময়, তার উদ্ধৃতি দিয়ে eisomoy365.com নামের একটি অনলাইন পত্রিকায় ‘বিনিয়োগ করতে এসে হু হু করে কাঁদতে দেখেছি বিদেশিদের’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়।

সরকার বলছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও প্রকৃত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত এ লেখায় মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং সরকারের জন্য অস্বস্তিকর বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার এ কাজ আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। এজন্য তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়।

২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানোর মধ্য দিয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর লিখিত জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন অভিযুক্ত মাহবুব কবীর মিলন।

এরপর ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় ব্যক্তিগত শুনানি। মাহবুব কবীরের লিখিত জবাব এবং ব্যক্তিগত শুনানিতে দেয়া বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে অভিযোগটি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে এম তারিকুল ইসলামকে। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদনে মাহবুব কবীরের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী আনীত অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মর্কতা।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বিষয়াদি বিবেচনায় সরকারি কর্মচারী বিধমালা মোতাবেক তাকে তিরস্কার নামীয় লঘুদণ্ড প্রদানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তাতে রাষ্ট্রপতিও সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

এর আগে এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিন মাসের মধ্যে সবখাতে দুর্নীতি দূর করতে ১০ কর্মকর্তার উইং গঠনের আহ্বান জানান মাহবুব কবীর। তখন বেশ আলোচিত হয় তার ওই বক্তব্য। সেই বক্তব্যের জেরে চলতি বছরের ১ মার্চ তাকে ‘তিরস্কার’ করে সরকার।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন মাহবুব কবীর মিলন। ওই সময় হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে সবখানে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন এবং বিপণন বন্ধে জোরালো ভূমিকা রেখে প্রশংসা কুড়ান এই কর্মকর্তা।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। এ অবস্থায় তাকে ওএসডি করা হয়। ওএসডি হওয়ার পর দুবার লঘুদণ্ড পেলেন এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর