বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামর্থ্য থাকলে আফগানদের রাখতাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৫:২০

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইতিবাচক দিকও দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটা হচ্ছে, ইতিবাচক। আমেরিকান প্রশাসনের আমাদের ওপর যথেষ্ট আস্থা আছে। তারা আমাদের মূল্যায়ন করে। এ কারণে তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু আমাদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কাউকে নেয়ার মতো অবস্থা নেই।’

তালেবানের আগ্রাসনের মুখে পলায়নপর আফগান নাগরিকদের ঠাঁই দিতে যুক্তরাষ্ট্র যে অনুরোধ করেছে, সামর্থ্য থাকলে বাংলাদেশ তা রাখত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য নেই তাদের অনুরোধ রাখার। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই অনুরোধ রাখতাম।’

আফগানিস্তানের কিছু নাগরিককে সাময়িক আশ্রয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এই অনুরোধকে দুভাবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে দুভাবে দেখছি। একটা হচ্ছে, ইতিবাচক। আমেরিকান প্রশাসনের আমাদের ওপর যথেষ্ট আস্থা আছে। তারা আমাদের মূল্যায়ন করে। এ কারণে তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু আমাদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কাউকে নেয়ার মতো অবস্থা নেই। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের এটা বলেছি। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যে আমাদের অনুরোধ করেছে, এটা হচ্ছে প্লাস পয়েন্ট।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যদি ক্ষমতা থাকত আমরা অবশ্যই তাদের রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) বিবেচনা করে দেখতাম, কিন্তু বাস্তবে আমাদের সেই অবস্থান নেই।’

এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবটি পাঠায় ওয়াশিংটন। রোববার রাতেই রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে জবাব পাঠায় ঢাকা।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তোমরা তো অনেক রোহিঙ্গা রেখেছ। আমরা তাদের হেল্পও করছি। আমাদের অনেক বন্ধু আফগানিস্তানে আছেন, তারা দ্রুত কাবুল ছাড়তে চান। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি ইস্যু। বাংলাদেশ যদি ওদের স্বল্পদিনের জন্য আশ্রয় দেয়, তাহলে অসহায় মানুষগুলোকে দ্রুত সরানো যাবে।

‘আমরা বলেছি যে, তোমরা যে আমাদের কথা ভেবেছ, এ জন্য ধন্যবাদ। রোহিঙ্গা নিয়ে এমনিতেই আমরা বড় কষ্টে আছি। আমরা ছোট দেশ। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। আমাদের তো এত জায়গা নেই। আমাদের অর্থনীতিও তোমাদের পর্যায়ের ভালো না। তাই তোমাদের অনুরোধ রাখতে পারছি না। নতুন করে একটা লোকও আশ্রয় দেয়া আমাদের জন্য অসম্ভব।’

আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থান ইস্যুতেও মন্তব্য এসেছে বাংলাদেশ সরকার থেকে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালেবান আফগানিস্তানে জনগণের সরকার গঠন করলে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে বাংলাদেশও।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকার গঠন করলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তালেবান সরকার গঠন করে আর ‌সেটা যদি জনগণের সরকার হয়, অবশ্যই তাদের জন্য আমাদের সাহায্য ও বন্ধুত্বের দরজা খোলা।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আফগানিস্তান আমাদের প্রতিবেশী দেশ, আমাদের বন্ধু দেশ। আমরা চাই, তাদের দেশেও উন্নতি হোক। আমরা সবাইকে নিয়ে সব দেশের উন্নয়ন করতে চাই। আফগানিস্তানে যে সরকারই আসুক, সেটা যদি জনগণের সরকার হয় আমরা তা গ্রহণ করব।’

দুই দশক পর আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতার মসনদে বসতে যাচ্ছে তালেবান। রাজধানী কাবুল, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ প্রায় সবকিছুই এখন তাদের দখলে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আফগানিস্তান ছেড়ে তাজিকিস্তান হয়ে ওমানে আশ্রয় নিয়েছেন।

আফগানিস্তানে তালেবানদের সরকার ঘোষণা কেবল সময়ের ব্যাপার। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তালেবান থেকে বলা হয়েছে, তারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। ভয়ে বা আতঙ্কিত হয়ে নাগরিকেরা যেন দেশ না ছাড়েন।

তালেবানদের এমন আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছেন না কাবুলবাসী। দেশ ছাড়তে উন্মুখ তারা; ভিড় করছেন বিমানবন্দরে।

এ বিভাগের আরো খবর