বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরা করোনাভাইরাসের ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের আর ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। থাকতে হবে হোম কোয়ারেন্টিনে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও আর প্রয়োজন হবে না। রোববার থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, হোম কোয়ারেন্টিনের সুবিধা নিতে যাত্রীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণের সনদ ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফলের সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। তবে ফেরার আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি লাগবে।
যাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া হয়নি তাদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা এখনও জারি আছে।
স্বাভাবিক সময়ে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভ্রমণের কাজে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার বাংলাদেশি ভারতে যায়। ওপার থেকে এ দেশে আসে পাঁচ শতাধিক ভারতীয়।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হলে ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার ভারত ভ্রমণে বিধি-নিষেধ জারি করে। শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সচল রাখা হয় মেডিক্যাল ভিসা। বাকি সব ভিসা বন্ধ রাখা হয়।
ভারতফেরত যাত্রীদের নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হয়। এতে অনেকেই আর্থিকসহ নানা রকম ভোগান্তিতে পড়েন। ভারতফেরতরা দাবি তোলেন হোম কোয়ারেন্টিনের।
ভারতগামী যাত্রী শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ভারতে যাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র এনেছিলেন কিন্তু তা আর লাগেনি। ছাড়পত্র ম্যানেজ করতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ছাড়পত্রের নিয়ম তুলে দেয়ায় ভারতভ্রমণ এখন সহজ হয়ে গেল।
ভারতফেরত মিজানুর রহমান জানান, ভারতে যাওয়ার আগেই তিনি দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। এখন দেশে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, রোববার ভারত থেকে ৯০ জন মেডিক্যাল ভিসার যাত্রী ফিরেছেন। তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ১১ জনকে ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৭৯ জনকে। ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত এখনও বন্ধ।