দেশের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকারক গেম দ্রুত অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতের রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, আদালত এ নির্দেশের পাশাপাশি টিকটক, পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।
গত ২৪ জুন মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী রিট করেছিলেন।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব এবং পুলিশের প্রধানকে বিবাদী করা হয়।
রিটকারী আইনজীবীদের ভাষ্য, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এসব গেম যেন যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।
তাদের মতে, টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেশের শিশু কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এবং সারা দেশে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় ‘পুল পার্টি’র নামে অনৈতিক বিনোদনে লিপ্ত হচ্ছে।
আইনজীবীদের ভাষ্য, সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারের ঘটনাও টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের মাধ্যমে চলছে, যেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।