সারা দেশে গণটিকার কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন হলেও সংকটের কারণে পুরোদমে গণটিকার কার্যক্রম চালাতে পারছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৭ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে গণটিকার কার্যক্রম শুরু হয়ে ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলে। তবে সপ্তাহের শুরুতে ১৪ আগস্ট থেকে পুরোদমে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও টিকাসংকটের কারণে এই ক্যাম্পেইন শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার গত ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তবে নিবন্ধন জটিলতায় গ্রামের একটি বড় অংশের মানুষ টিকা কার্যক্রমের বাইরে ছিল। তাদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে সরকার পরীক্ষামূলকভাবে গণটিকা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল, যাতে ছিল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা দেয়ার সুযোগ। এটি এখন বন্ধ থাকছে।
রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনায় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা
জাহিদ মালেক বলেন, ‘পরীক্ষামূলক গণটিকা কার্যক্রমে এক দিনে ৩৪ লাখ মানুষকে টিকা দিয়েছি। টিকা হাতে আসলেই আবার এই ক্যাম্পেইন হাতে নেয়া হবে। আর এই সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে টিকাদান কর্মসূচি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই কার্যক্রম ছিল পরীক্ষামূলক। এখন টিকা পাওয়ার সাপেক্ষে আমরা পরবর্তীতে আবার ক্যাম্পেইনে যাব। বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিন চলে আসলে শহরে এবং গ্রামে আমরা একসাথে গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারব।’
মন্ত্রী জানান, টিকা পেতে চীনের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে। এ ছাড়া যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে চীনের সঙ্গে চুক্তি হবে। রাশিয়ার সঙ্গে টিকা পেতে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেই টিকার চালানের অপেক্ষা। এ ছাড়া ভারতের কাছে পাওনা আছে ২ কোটি ৩০ লাখ টিকা।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই সপ্তাহে আমরা ৫৪ লাখ টিকা পেয়েছি। মাসের শেষের সপ্তাহের মধ্যে আরও ৫০ লাখ টিকা আসবে। এর মধ্যে আমাদের স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে।’