এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা মামলার দায় থেকে সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবুল হক সিকদার ওরফে রন হক সিকদার এবং তার ভাই দিপু হক সিকদারকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী বৃহস্পতিবার তাদেরকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ইকবাল হোসেন ও আব্দুল বাতেন শুনানি করেন।
তারা বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া কিছুই নয়। বাদী তার ভুল বুঝতে পেরেছেন।
এ সময় মামলার বাদী লে. কর্নেল সিরাজুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক অনাপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলে তার কোনো আপত্তি নেই।
উভয় পক্ষের কথা শোনার পর বিচারক রাজেশ চৌধুরী তার আদেশে বলেন, এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের পর আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হলো।
সেই সঙ্গে আসামিদের কাছ থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা মালপত্র ফেরত দেয়ার আদেশ দেন বিচারক।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন তথ্যটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২৬ জুলাই দুই ভাইকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন উদ্দিন।
এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সিকদার গ্রুপ অফ কোম্পানিজের এমডি রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গত বছর ১৯ মে গুলশান থানায় মামলা করেন এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) সিরাজুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, গত বছরের ৭ মে রন হক সিকদার ও দিপু সিকদার এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসনেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখেন। সেখানে তাদেরকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। ওই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে সই নেন।