রাশিয়া ও জার্মানির নবনিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনটিভিচ মানটিসকি (Alexander Vikentyevich MANTISKIY) এবং জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার (Achim Troster) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন।
নতুন দুই রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় দুই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়া ও জার্মানির সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
এ সময় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সমস্যা উল্লেখ করে তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রাশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাশিয়ার নতুন দূতের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। পাশাপাশি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য রাশিয়া সরকারকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি হামিদ জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের রপ্তানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল জার্মানি। তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতে জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপ্রধান। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে জার্মান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জার্মানির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জার্মান সরকার মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।’
নবনিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত তাদের দায়িত্ব পালনের সময় রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।