পদ্মা সেতুর সুরক্ষায় সরকারের নির্দেশে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও মালবাহী বড় ফেরি বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ পড়েছে ঘাটে।
পাঁচটি মাঝারি ফেরিতে এই নৌপথে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলছে যানবাহন পারাপার। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় নদী পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় সকালে দেখা যায় কয়েকশ যানবাহন।
এক মাসের কম সময়ের মধ্যে সেতুর পিলারে দুটি রো রো ফেরির ধাক্কা লাগে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর সুরক্ষায় স্রোতের তীব্রতা কমার আগ পর্যন্ত যাত্রী ও মালবাহী ফেরি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহমেদ জানান, আগে যেখানে ১৭টা ফেরি চলত, এখন চলছে ৫টি। ঘাট এলাকায় দেড়শ ছোট গাড়ি এবং দুইশ পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে কী পরিমাণ গাড়ি আছে তা আমার জানা নেই। সকাল থেকেই পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও অতি গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি পার করানোর চেষ্টা চলছে। প্রতি ফেরিতেই একটি বা দুটি ট্রাক দেয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক (নৌ-ট্র্যাফিক) শাহাদাত হোসেন জানান, ৮৭টি লঞ্চ চলছে। লঞ্চের যাত্রী পরিবহন স্বাভাবিক। ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জোরালো নজরদারি চলছে।
মাওয়া ট্র্যাফিক পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, রাতে যেসব ট্রাক এসেছে সেগুলোকে মহাসড়কের পাশে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাদেরকে আরিচা ঘাট দিয়ে পার হতে বলা হচ্ছে।