গেজেটের মাধ্যমে বাতিল করা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৯৬ মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা ও আর্থিক সুবিধাদি দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাবরিনা জেরিন।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৭ জুন ১ হাজার ১৩৪ জন বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার। ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করলে হাইকোর্ট সেটি স্থগিত করে দেয়। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগে আবেদন করে।
এরপর গত বছরের ২৯ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা-আর্থিক সুবিধাদি দিতে নির্দেশ দেয়।
একই সঙ্গে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়।
সরকারঘোষিত গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত।
রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১-এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তা কার্যকর করা হচ্ছে।
জামুকার সিদ্ধান্ত অনুসারে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসে (বিডিআর) যোগদান করা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ১ হাজার ১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুবিধা বাতিলের এ আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে পৃথকভাবে ১৯৬ জন হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও আর্থিক সুবিধা বহাল থাকল।