বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমাধানে ‘সময় লাগবে’

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২১ ১৫:২৭

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতা থেকে দূর করা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চট্টগ্রামে অনেক অবৈধ স্থাপনা খালের ওপরে হয়েছে। সবকিছু নিয়ে বিরাট সমস্যা আছে। এই সমস্যা দূর করতে আমাদের সময় লাগবে।’

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে আগামী এক মাসের মধ্যে সমন্বিত নকশা প্রণয়ন করা হবে। তবে সরকার থেকে বলা হচ্ছে, এ সংকট সমাধানে সময় লাগবে।

সচিবালয়ে বুধবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যানিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং নিষ্কাশন উন্নয়ন বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন পানিসস্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মহোদয়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উনি এসেছেন, সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।

‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে সবার সঙ্গে একত্রে বসে আমরা কম্প্রিহেনসিভ একটা প্ল্যান করব, যাতে সেটা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।’

নকশাটি এক মাসের মধ্যে প্রণয়নে ডিজাইন সেকশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান জাহিদ ফারুক। বলেন, ‘চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতা থেকে দূর করা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চট্টগ্রামে অনেক অবৈধ স্থাপনা খালের ওপরে হয়েছে। সবকিছু নিয়ে বিরাট সমস্যা আছে। এই সমস্যা দূর করতে আমাদের সময় লাগবে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় চট্টগ্রামে একটি প্রকল্প (চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যানিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন) বাস্তবায়ন করছে। সেই প্রকল্প চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তার যে উদ্দেশ্যে...নকশার ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা না দেয় সে জন্য আজ বসেছি।’

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে আগের প্রকল্পগুলোর সুফল না আসার প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে বেশ আগে। এখন ডিজাইনটা কমপ্লিট করতে হবে...ডিজাইনটি যখন করা হয়েছিল, সেই ডিজাইনটা পুনরায় যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। স্টেকহোল্ডার বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর তাদের কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। সিডিএরও কিছু পর্যবেক্ষণ থাকতে পারে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে যাওয়ার পর তাদের এই কথাগুলো উত্থাপন করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রজেক্ট রিভিউ করার কথা হয়েছে। সেই রিভিউয়ের অংশ হিসেবে আজকে বসেছি। শুধু এই প্রকল্প দিয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না। আরও প্রকল্প আছে, আরও প্রকল্প নিতে হতে পারে।’

খণ্ড খণ্ড ডিজাইন সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন শেষ করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব বসে এটা দেখবেন। যে উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে তা পূরণ করছে কি না। পরবর্তী সময়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর