বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীমনি কেন একই পোশাক ও মাস্কে

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ২৩:৩১

সিআইডির কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি এক কাপড়ে থাকার প্রশ্নই আসে না। তিনি তো দুইবার কাপড় বদলেছেন। আমরা তাকে দুই ধরনের পোশাকে দেখেছি।’

গ্রেপ্তারের দিন পরীমনি যে পোশাক পরে ছিলেন, চার দিনের রিমান্ড শেষে সেই পোশাকেই তাকে আদালতে তোলা হয়। এমনকি তার মুখেও ছিল একই মাস্ক। তাহলে কি গত শুক্রবার থেকে পরীমনি একই পোশাকে কাটিয়েছেন?

এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরে মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত অনেকের মুখেই।

রিমান্ড পরবর্তী উপস্থাপন ও সিআইডির নতুন রিমান্ড আবেদন করতে দুপুর ২টার দিকে আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে। শুনানির সময় তার আইনজীবী মজিবুর রহমান পোশাকের বিষয়ে মহানগর হাকিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, পরীমনি ১২০ ঘণ্টা একই পোশাকে আছেন, তাকে পোশাক বদলানোর সুযোগ দেয়া হয়নি।

এর বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু আদালতকে জানান, ‘পরীমনিকে কাপড় পাল্টানোর সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি বরং আদালতকে দেখাতে তিনি একই কাপড় পরে এসেছেন।’

শুনানি শেষেও সাংবাদিকদের একই অভিযোগ করে পরীমনির আইনজীবী বলেন, ‘পরীমনির পরিবার কাপড় নিয়ে গিয়েছিল, তবু সিআইডি কাপড় হস্তান্তরের সুযোগ করে দেয়নি। এতে তার আইনি অধিকার খর্ব হয়েছে।’

এ অভিযোগের সত্যতা জানতে আদালত প্রাঙ্গণে নিউজবাংলা যোগাযোগ করে সিআইডির এক কর্মকর্তার সাথে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘তিনি এক কাপড়ে থাকার প্রশ্নই আসে না। তিনি তো দুইবার কাপড় বদলেছেন। আমরা তাকে দুই ধরনের পোশাকে দেখেছি।’

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেন সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

পরীমনির পোশাকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি আদালতের এই ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেই তদন্তের দায়িত্বে থাকা আমার অফিসারদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, আদালতে আসামিপক্ষের উকিল ভুল তথ্য দিয়েছেন।’

পরীমনিকে রিমান্ডে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা সিআইডির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামি এক কাপড়ে ছিলেন কই তেমনটা তো আমার চোখে পড়েনি? আমি গতকালও (সোমবার) তাকে দেখলাম সাদা একটি পোশাকে। এর আগের ইন্টারোগেশনে অন্য রংয়ের পোশাক পরা ছিল। ওনাকে যে রুমে রাখা হয়েছে, সেটি তো সিসি ক্যামেরার অধীনেই আছে। সেখানেও দেখা যাবে তার একাধিক পোশাক।’

পরীমনির মাস্ক সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলে বলেন, ‘বিষয়টা খুবই হাস্যকর। আমি ইন্টারোগেশনে তাকে খুব ভালভাবে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছি, তার কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, কোনো কিছুর প্রয়োজন কিনা। তিনি বরং বলেছেন, আগের জায়গা থেকে এখানে অনেক ভাল আছেন। শুধু এসির অভাব বোধ করছেন। ওনার মতামত নিয়ে পছন্দের খাবার পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে, আর আমরা মাস্ক দিব না? উনি যদি মাস্ক চাইতেন, অবশ্যই তা পেতেন। আমরা তো রাস্তায় সাধারণদের মাস্ক বিতরণ করে বেড়াচ্ছি, আর উনি চাইলে মাস্ক পাবেন না এমনটা হয় না। এটা নিছক আমাদের হেয় করার জন্যই বলেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর