শাটডাউন তুলে দিয়ে সড়কে অর্ধেক বাস চালানোর সরকারি সিদ্ধান্ত মানবেন বাস মালিকরা।
তবে এই সিদ্ধান্তকে আমলাতান্ত্রিক হঠকারিতা বলেই মনে করছেন তারা। এটা কঠিন এবং কীভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে এখনও সন্দিহান তারা।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা অসম্ভব ব্যাপার। এটা মানা সম্ভব নয়। এ কথা আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের সবখানে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
‘কারো ১০০ গাড়ি আছে। কারো ২০টি। কারো ৫টি আছে। আবার তিনজনে মিলেও কিনেছেন একটি গাড়ি। তাহলে বলেন, কাকে, কী ভাবে, অর্ধেক গাড়ি নামাতে বলব?’
অন্যদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি একটি হঠকরি সিদ্ধান্ত। কে কয়টা গাড়ি নামাচ্ছে এটা কে কীভাবে মনিটরিং করবে?’
তিনি বলেন, ‘এটা একটা আমলাতান্ত্রিক হটকারি সিদ্ধান্ত। সরকারকে বিব্রত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
‘সরকারের উচিত ছিল এ বিষয়ে স্টেক হোল্ডার হিসেবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা। সরকার আমাদের কথা শুনলে পরিস্থিতি বুঝতে পারত। তখন তিনপক্ষ মিলে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া যেতো।’
তবে কি সরকারি সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে এনায়েত উল্লাহ বলেন ‘সরকার যখন একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে, আমরা মানার চেষ্টা করব। কিন্তু কী ভাবে মানা হবে তা জানি না।’
‘যার হয়তো ১০টি গাড়ি আছে, তাকে হয়তো ৫টি নামাতে বলব। কিন্তু যার একটি বা দুইটি, সে তো এমনিতেই নাজুক অবস্থায় আছেন। তারা গাড়ি নামাবেন। কিন্তু মনিটরিং করাটা দুরূহ হয়ে যাবে।’
গত রোববার এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শর্ত সাপেক্ষে আগামী বুধবার থেকে অফিস-আদালত, যানবাহন, শপিংমল, দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
‘আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে গণপরিবহনগুলো। সে ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ নেই পরিবহন মালিকদের।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে সড়কপথে গণপরিবহন তথা বাস চালানোর ক্ষেত্রে প্রতিদিন মোট পরিবহনের অর্ধেক চালু করা যাবে।