বঙ্গমাতার জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিনামুল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করেছে যুবলীগ।
সোমবার ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বিভিন্ন জেলায় যুবলীগের অক্সিজেন ব্যাংকগুলোতে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মাজেদা হাসপাতাল অক্সিজেন ব্যাংক, শেখ ফজলুল হক মণি ও আরজু মণি অক্সিজেন ব্যাংক (যশোর)-কে ১২০ কেজি ওজনের ১০টি করে সিলিন্ডার দেয়া হয়।
এছাড়াও গাজীপুর মহানগর যুবলীগ, পাবনা জেলা যুবলীগ, কুমিল্লা মহানগর যুবলীগ, খুলনা মহানগর যুবলীগ, মাগুরা জেলা যুবলীগ, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ, সিলেট মহানগর যুবলীগ, ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগ, পটুয়াখালী জেলা যুবলীগ, কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগ, চাঁদপুর জেলা যুবলীগ ও শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের অক্সিজেন ব্যাংকে ৩০ কেজি ওজনের ৫টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়।
এ সময় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘তিনি ছিলেন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। অতিথিপরায়ণ, তার হৃদয় ছিল মহানুভবতায় ভরপুর, দুঃসময়ে ছিলেন ধৈর্য্যরে মূর্তপ্রতীক, কীভাবে দুঃসময়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগিয়ে যেতে হয় তা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি।’
‘ছয় দফা থেকে-১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এই দুর্বিসহ সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন সময়ে যখন জেলে বন্দি থাকতেন তখন দিশাহারা ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পথপ্রদর্শক ছিলেন বঙ্গমাতা। শুধু তাই নয়, তিনি শিশুদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক।’
তিনি বলেন, ‘শিশুদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। আমার শিশু বয়সে তাঁর সঙ্গে মধুর স্মৃতি রয়েছে। একদিন আমার মায়ের সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২, বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গেলে তাদের মুরগি এবং মুরগির বাচ্চা আমার খুব পছন্দ হয়ে যায়। সেটি বঙ্গমাতা টের পেয়েছিলেন। কিন্তু মায়ের কারণে বাসায় আনতে পারি নাই। কাঁদতে কাঁদতে সেদিন বাসায় ফিরেছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে দেখি মুরগি ও মুরগির বাচ্চা আমার বাসায় পৌঁছে গেছে। এটাই ছিল শিশুদের প্রতি বঙ্গমাতার ভালোবাসা।’
‘আমি তাঁকে আপন দাদি বলে ডাকতাম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিও ছিল তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা, জীবন দিয়ে তা প্রমাণ দিয়েছেন। এ দেশের মুক্তির আন্দোলনে, মুক্তির সংগ্রামে সবচেয়ে বড় দেশ প্রেমিকের নাম বঙ্গমাতা। এদেশের মুক্তি-সংগ্রামের নেপথ্যের বড় গেরিলা যোদ্ধার নাম বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর যে চারিত্রিক গুণাবলীতে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সরলতা ও মহানূভবতা দেখতে পাই তা তিনি বঙ্গমাতার চারিত্রিক গুণাবলী থেকে লাভ করেছেন।’
এ সময় আবুল খায়ের গ্রুপ ও নাভানা গ্রুপের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে পরশ বলেন, ‘আপনারা এই করোনার মহামারিতে নানাভাবে মানুষের পাশে রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন বলেই এতটা কষ্ট, এতটা ত্যাগ স্বীকার করে মানুষের সেবা করে চলেছেন।
‘মনে রাখবেন শুধু মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ হওয়া যায় না। কর্মের মাধ্যমে মানুষ তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছায়। আপনারা মানুষের জন্য কাজ করে যান-আপনারাও সফলকাম হবেন। তিনি যুবলীগের টেলিমেডিসিন ও স্বাস্থ্য সেবার সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ দেন।’