পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে সোমবার সকালে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে বসছে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এ প্রকল্পের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সোমবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠান শেষে সেতুমন্ত্রী কথা বলেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে।
প্রকল্প ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে সরকার লকডাউন শিথিল করলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও কঠোর লকডাউন দেয়া হতে পারে।’
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শ্রমিক-মালিকদের সহযোগিতা চান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশের সড়ক-মহাসড়কে এত উন্নয়ন হচ্ছে, নেয়া হচ্ছে একাধিক প্রকল্প তবুও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। যেকোনো মূল্যে সড়কে-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
‘গণপরিবহন চলাচলে করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে যে ভাড়া ছিল সে ভাড়ায় চলবে, বর্ধিত ভাড়ায় নয়। চলাচলের আগে গাড়ি জীবাণুমুক্ত, পরিষ্কার করতে হবে। যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা
গণটিকা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যকে 'কাণ্ডজ্ঞানহীন' বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গণটিকা লোক দেখানো নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণটিকা কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখে কাণ্ডজ্ঞানহীন সমালোচনা করছে তারা। প্রকৃতপক্ষে এটি তাদের গণহতাশার বহিঃপ্রকাশ। বিষয়টি নিয়ে বিএনপিকর্মীদের চেয়ে নেতারাই বেশি হতাশাগ্রস্ত। ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা বিএনপি নেতারা চোখ খুললেই দেখতে পাবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার ডিপ অ্যান্ড এবাইডিং কমিটমেন্ট থেকে বিএনপি চাইলে অনেক কিছুই শিখতে পারত। কিন্তু বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, রক্তাক্ত ষড়যন্ত্রে বিএনপির অতীত কলঙ্কিত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অল্প সময়ের ব্যবধানে সরকার প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভ্যাকসিন সংগ্রহে সফল হবে, বিএনপি এটা ভাবতেই পারেনি। টিকা পেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে, এমন ভাবনা ছিল তাদের। এখন তারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছে।
‘জনগণের সাথে প্রতারণা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা কখনো করে না, করবেও না। বিএনপি দলীয়প্রধানের একাধিক ভুয়া জন্মদিন পালন করে নিজেরাই এখন জনগণের কাছে প্রতারক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। জনগণের প্রতি বিএনপির যদি ন্যূনতম দায়িত্ববোধ থাকত তাহলে অন্তত টিকাদানের সময় সরকারের সমালোচনা বন্ধ করে মানুষের পাশে দাঁড়াত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি মানে সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার নয়, অন্ধ সমালোচনা নয়। অকপটে সত্য উচ্চারণের সাহস রাজনৈতিক দলের থাকতে হয়। বিএনপি অব্যাহত মিথ্যাচার চর্চায় সবকিছু হারিয়ে ফেলছে।’