স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির সাজা পাল্টে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এসএম আমিনুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি রায়ে গোলাম রব্বানীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
গোলাম রব্বানীকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে রাখতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর বগুড়ার কাহালু থানার কাহালু গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রীকে সাপে কামড় দিয়েছে-একথা বলে ওঝার কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ওঝা ক্ষতস্থান দেখে বলেন, এটা সাপের কামড় নয়। এরপর ভিকটিমকে তার বাপের বাড়ি ও পরে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পরদিন ২৯ নভেম্বর কাহালু থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন গোলাম রব্বানী। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও রসায়নিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে কার্বামেট নামে বিষ প্রয়োগে সেই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।
এ অবস্থায় নিহতের ভাই গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন মামলার এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে থানাকে নির্দেশ দিলে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে এজাহার গ্রহণ করা হয়।
একই বছরের ২৫ জানুয়ারি গোলাম রব্বানীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিচার শেষে ২০১০ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গোলাম রব্বানীও হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট দণ্ড বহাল রাখে।
এর পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি গোলাম রব্বানী।