করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চলমান বিধিনিষেধের অবসান ঘটিয়ে আগামী বুধবার থেকে দেশ সচল হওয়ার দিন থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।
সেদিন থেকে ৩৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেন, ২০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন সারা দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে।
সোমবার থেকেই বিক্রি করা হবে টিকিট। ঈদের আগে বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল করার সময় টিকিট কেবল অনলাইনে বিক্রি করা হলেও এবার অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারেও পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রেলওয়ের এক অফিস আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়, আগামী বুধবার থেকে অফিস-আদালত, শপিংমল, দোকানপাট খুলবে, চলবে গণপরিবহন।
সড়কে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে এবার আর প্রতি দুই আসনে একজন যাত্রী বহনের বিধান রাখা হচ্ছে না। জানানো হয়েছে, যাত্রী বসবে প্রতি আসনেই। আর যাত্রী কমিয়ে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নেয়ার যে পদ্ধতি এতদিন চালু ছিল, সেটিও আর থাকছে না।
রেলওয়ে জানিয়েছে, তারাও প্রতি আসনে যাত্রী বহন করবে। তবে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে দেয়া হবে না, অর্থাৎ কোনো স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে না।
সোমবার থেকে আন্তনগর ট্রেনের মোট ৫০ শতাংশ টিকিট মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনে এবং অবশিষ্ট টিকিট স্টেশন কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
লকডাউন ও শাটডাউন শিথিলের সময় প্রতি দুই আসনে এক যাত্রী নিয়ে ছুটেছে ট্রেন। তবে এবার যাত্রী তোলা হবে প্রতি আসনে
যাত্রীদের সামাজিক, শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করে টিকিট বিক্রি করতে হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।
প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময় থেকে ট্রেনে অবস্থানকালীন সব যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে। কুলি ও ট্রলি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদেরও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ট্রেনের প্রতিটি কোচ ও ইঞ্জিন চলাচলের আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
রাতের ট্রেনের বেডিং সরবরাহে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার বিক্রি করা যাবে।
টিকিটি কালোবাজারি ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে রেলওয়ে।
গত ১ আগস্ট শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধ দেয়ার দিন থেকে ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।