বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাণভিক্ষা না চেয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন বঙ্গমাতা

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২১ ১৩:১৪

মায়ের স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও…যখন কেউ মৃত্যুর সামনে দাঁড়ায় তখন জীবন ভিক্ষা চায়, কিন্তু আমার মা ভিক্ষা চান নাই। তিনি জীবন দিয়ে গেছেন।’

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা জীবনের ভিক্ষা না চেয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

ওই সময় মায়ের স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও…যখন কেউ মৃত্যুর সামনে দাঁড়ায় তখন জীবন ভিক্ষা চায়, কিন্তু আমার মা ভিক্ষা চান নাই। তিনি জীবন দিয়ে গেছেন।

‘আব্বাকে (বঙ্গবন্ধু) হত্যা করেছে যখন দেখলেন, তখন বললেন আমাকেও মেরে ফেলো। ঘাতকের বন্দুক গর্জে উঠেছিল। সেখানেই মাকে হত্যা করে। কতটা সাহস একটা মানুষের থাকে। জীবনের ভিক্ষা না নিয়ে তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন।’

১৫ আগস্ট কেন এই হত্যাকাণ্ড চালানো হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কী অপরাধ ছিল আমার বাবার, আমার মায়ের, আমার ভাইদের?’

মায়ের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘আমার মা কখনো সামনে আসেননি। কখনো মিডিয়ার সামনে আসেননি। নীরবে থেকে বাবাকে প্রেরণা দিয়ে গেছেন। তার নীরব সাক্ষী আমি।

‘মায়ের সাথে বয়সের তফাত বেশি না। ১৭-১৮ বছর পার্থক্য হবে। মায়ের সবচেয়ে কাছের এবং সুখ-দুঃখের সাথি ছিলাম আমি। তার ধৈর্য-সাহস এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে যথেষ্ট অবদান রেখেছে।’

বঙ্গমাতার সাদাসিধে জীবনের কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘স্বামীর কাছে মানুষের অনেক চাহিদা থাকে। কিন্তু মায়ের কখনো বাবার কাছে চাহিদা ছিল না। বলতেন, সংসারের কথা ভাবতে হবে না। দেশের কথা চিন্তা করো। বাবা কারাগারে গিয়েছেন। মা সেখানেও তাকে প্রেরণা দিয়েছেন।’

বেগম ফজিলাতুন নেছা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩০ সালের এই দিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো ৯১ বছর। তার ডাকনাম ছিল রেণু। পিতা শেখ জহুরুল হক ও মাতা হোসনে আরা বেগম।

রেণুর বয়স যখন ৫, তখনই মা-বাবাকে হারান তিনি। তার বাবা শেখ জহুরুল হক ছিলেন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর চাচা। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যখন রেণুর বিয়ে হয়, তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর।

বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কারণে জীবনের একটি বড় সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। তিনি কারাগারে থাকার সময় সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবই।

মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে একাত্তরের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের ঠিক আগ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু যখন কী বলবেন তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন, তখন তাকে সাহস জুগিয়েছিলেন শেখ ফজিলাতুন নেছাই।

এবারই প্রথম তার জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হচ্ছে।

বিস্তারিত আসছে…

এ বিভাগের আরো খবর