করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদ পরবর্তী শাটডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস।
চালকরা বলছেন, দ্রুতগতিতে বাস চালিয়ে গেলে সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কিছু বলছেন না। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশ থেকে মামলা দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে বাসগুলো।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের দেয়া কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল করছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা, রসুলপুর, রাবনা, কান্দিলা, আশেকপুর, তারটিয়া, করটিয়া এলাকায় শনিবার সকাল থেকে দূরপালার বাস চলাচল করতে দেখা যায়।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এক পাম্পে কথা হয় গাইবান্ধা থেকে আসা বাস চালক সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে গার্মেন্টস খোলার কারণে এক দিনের জন্য সরকার বাস খুলে দেয়। তখন ওখানে গিয়ে আটকা পড়েছিলাম। আজকে চান্স পাইছি, তাই ঢাকায় ফিরছি।’
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা বাস চালক হুমায়ন বলেন, ‘সকাল বেলায় পুলিশ কম থাকে। টানের উপরে থাকলে বাস দেখলেও পুলিশ কিছু বলে না।’
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘দূরপালার বাস টাঙ্গাইল অংশে আসলে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০টি যানবাহনে মামলা দিয়ে সেগুলোকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
এর আগে ঈদের পরের দিন থেকে শাটডাইন দেয় সরকার। শাটডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর ১ আগস্ট কল-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় শ্রমিকরা হেঁটে বা ছোট গাড়িতে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যান।এ যাত্রায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।
এসব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় সরকারের তথ্য অধিদপ্তর জানায়, গণপরিবহন চালু থাকবে ২ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরে পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানায়, শ্রমিকবাহী পরিবহনগুলোকে ওই দিন দুপুরের পরও ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হবে।