আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এক নারীকে নজরদারিতে রাখার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ।
তিনি কে, এই বিষয়টি এখনই প্রকাশ না করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সেই নারী পরীমনির খুবই ঘনিষ্ঠ।
পুলিশের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ওই নারী নিজেও সিনেমা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে পরীমনির ঘনিষ্ঠতার তথ্যও এসেছে কিছুদিন আগেও। সেই নারীকে এই নায়িকা খুব আপনজনের একটি সম্বোধন করতেন।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডিবি কর্মকর্তা। চার দিনের রিমান্ড আদেশ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে এই কার্যালয়েই পরীমনি নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
আগের রাতে বনানীর নিজ বাসা থেকে আটক পরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবৈধভাবে মদ কিনে বাসায় মজুদ করতেন আর সেখানে একটি মিনিবারের মতো গড়ে তুলেছিলেন। নানা সময় সেখানে পার্টি হতো।
আর সেখানে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড হতো।
পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মদের বোতল। ছবি: নিউজবাংলা
মদের পাশাপাশি এই নায়িকার বাসা থেকে এলএসডি ও আইস নামে মাদক উদ্ধারের কথাও জানানো হয়েছে।
প্রথমদিনের জিজ্ঞাসাবাদে কী পাওয়া গেছে- এমন প্রশ্নে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গতকাল তারা রিমান্ডে এসেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের বাসা থেকে উদ্ধার মাদক বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
‘সে যে এই বিপথে এসেছে, অন্ধকার পথে পা বাড়িয়েছে, এটার পিছনে কারা কারা তাকে পেট্রোনাইজড করেছে,পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। সে নামগুলো বলেছে।’
কাদের নাম বলেছেন পরীমনি?
গোয়েন্দা কর্মকর্তা কারও নাম না জানিয়ে বলেন, ‘এছাড়া একজন মহিলার নামও বলেছে।’
সেই নারী কে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই মহিলার নাম আমরা এখনই বলছি না। তাকে নজরদারিতে রাখছি। শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
গত জুনে পরীমনি বিরুলিয়া এলাকায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে তুমুল আলোচনায় আসেন।
পরীমনি অভিযোগটি সামনে আনার পর গণমাধ্য কর্মীরা যখন তার বাসায় যায়, তখন সেখানে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। পরী তাকে ‘মম মম’ বলছিলেন।
পরীর বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর চয়নিকার নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরে নিউজবাংলাকে তিনি বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে তার যোগাযোগ পেশাগত কারণে।
পরীমনির কাছে কেন এবার যাননি-এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেকে অনেক কথাই বলবে। আমি গেলেও আলোচনা-সমালোচনা করবে; না গেলেও আলোচনা-সমালোচনা করবে। এতে আমার কিছু যায় আসে না।
‘পরীমনির বাসায় অভিযান চলার কথা শুনে সেখানে আমি কেন যাব? আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন অনুযায়ী সেখানে কাজ হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আমার সেখানে কী করার আছে? আর সেখানে গেলেই কি আমি পরীমনির বাসায় যেতে পারতাম?’