দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সার্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ২৭ জুলাই ২৫৮ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২ হাজার ৭৪৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৯০২ জনের।
২৪ ঘণ্টায় দেশের ৭০৭টি ল্যাবে করোনার ৪৬ হাজার ৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ।
এ সময়ে সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪৩ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গত এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৪০ জন, নারী ১২৪ জন। এর মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। বিশোর্ধ্ব ৫, ত্রিশোর্ধ্ব ২৫, চল্লিশোর্ধ্ব ৩১, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৯ ও ষাটোর্ধ্ব ৭৪, সত্তরোর্ধ্ব ৫০, অশীতিপর ১৫ ও নবতিপর ৩ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ৫৬ জন। এ ছাড়া খুলনা ৩৫ জন, রাজশাহীতে ১৯, বরিশালে ১৬, সিলেটে ২৩, রংপুরে ১৮ ও ময়মনসিংহে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি। গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি। তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।
করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দফায় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ, লকডাউন বা শাটডাউন দিচ্ছে সরকার। বর্তমানে ঈদুল আজহা-পরবর্তী ১৪ দিনের শাটডাউন চলছে দেশে। এই শাটডাউন শেষ হওয়ার আগেই এর মেয়াদ আরও পাঁচ দিন বাড়িয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী, ১১ আগস্ট থেকে বাসসহ গণপরিবহন চালু করা এবং দোকানপাট ও অফিস আদালত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।