ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় পাওয়া পণ্যের জব্দতালিকা করেছে র্যাব। এই তালিকায় বিপুল পরিমাণ মদের পাশাপাশি রাখা হয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত মাদকদ্রব্য আইস ও এলএসডির নাম।
র্যাব জানায়, পরীর বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে আট বোতল প্লাটিনাম লেভেল, তিনটি ব্ল্যাক লেভেল, দুটি চিভাস রিগাল, দুটি ফক্স গ্রোভ, একটি ব্লু লেভেল, দুটি গ্ল্যানলিভেট, এক বোতল গ্ল্যানফিডিচ।
তার বাসা থেকে আরও জব্দ হয়েছে চার গ্রাম আইস ও একটি স্লট এলএসডি। এর ছাড়া জব্দ তালিকায় একটি বং পাইপের কথাও বলা হয়েছে।
চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক নজরুল ইসলাম রাজের অফিস থেকেও বিপুল মদ জব্দ করার কথা জানিয়েছে র্যাব। জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, তার বাসায় মিলেছে সাত বোতল গ্ল্যানলিভেট, দুটি গ্ল্যানফিডিচ, চারটি ফক্স গ্রোভ, একটি প্লাটিনাম লেভেল।
এর বাইরে সিসায় ব্যবহৃত চারকোলের একটি প্যাকেট, দুই সেট সিসার সরঞ্জাম, দুই ধরনের সীমা তামাক, সিসা সেবনের জন্য ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের একটি রোল, ৯৭০ পিস ইয়াবার কথাও বলা হয়েছে জব্দতালিকায়।
এ ছাড়া যৌনাচারের জন্য ব্যবহৃত ১৪টি বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম, একটি সাউন্ড বক্স ও দুটি মোবাইল ফোন সেট এবং একটি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় অবৈধ মাদকদ্রব্য আইস ও এলএসডি এবং বিপুল মদ জব্দ করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে এই অভিনেত্রীকে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরীমনির বাসায় অভিযান শেষ না হতেই বনানী ৭ নম্বর সড়কে আরেকটি বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের গোয়েন্দা শাখা। ওই বাসা থেকে ইয়াবা, মদ এবং যৌনাচারে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রাজকেও আটক দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব কার্যালয়ে।
সেখানেই পরীমনি ও রাজকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে ব্রিফিং শেষে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।