বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের অহংকার

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ১০:৪৪

শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে বনানীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তারুণ্যের অহংকার শেখ কামাল ছিলেন সৃষ্টিশীল মানুষ, যা এখনও তরুণেরা অনুসরণ করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের অহংকার; বহু প্রতিভার অধিকারী সৃষ্টিশীল মানুষ। তার সৃজনশীল প্রতিভা আজকের বাংলাদেশের কোটি তরুণের প্রেরণা।

বৃহস্পতিবার সকালে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

১৯৪৯ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শেখ কামাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রে ২৬ বছর বয়সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারে নির্মম-নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।

শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কোরান পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলেও অংশ নেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বনানী কবরস্থানে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান নিখিলের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা শেখ কামালের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার যে কলঙ্ক জাতির কপালে কলঙ্কতিলক হিসেবে ছিল, সেই কলঙ্কের কালিমা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পন্ন করে তার কন্যা শেখ হাসিনা আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছেন। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার সেই আলোর পথের অভিযাত্রী আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব।’

শেখ কামালকে তারুণ্যের অহংকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের অহংকার। তিনি ছিলেন বহু প্রতিভার অধিকারী একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। তার সৃজনশীল প্রতিভা আজকের বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি তরুণের জন্য প্রেরণা।’

শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, ক্রীড়া এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

বনানীতে শ্রদ্ধা জানানোর আগে ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাব মাঠে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজমসহ আরও অনেকে।

শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। দেশে নান্দনিক ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মানোন্নয়নে অপরিসীম অবদান তার। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করতেন।

বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদক বিভাগের ছাত্র ছিলেন শেখ কামাল। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে থিয়েটার আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রথমসারির সংগঠক।

বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনয় শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় উৎসাহ ছিল তার। ছিলেন অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্লু’ খ্যাতিপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা খুকুর সাথে শেখ কামালের বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণের সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এম.এ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর