বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘দেশের স্বার্থেই খুলেছে শিল্প, কথা রাখেনি ব্যবসায়ীরা’

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ১৯:০২

‘আমি মনে করি, গার্মেন্টস মালিকদের আরেকটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল। সবাইকে আমি দোষ দিব না, কিন্তু যারা শ্রমিকদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন কাজে যোগদান করতেই হবে, সেই বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে একটু ভুল ছিল। তারা যেটি বলেছিলেন ঢাকার আশেপাশে বা ঢাকায় অবস্থান শ্রমিকদের নিয়ে চালু করবে, সেটি হলে এভাবে দৌড়ঝাঁপ করে শ্রমিকদের আসতে হতো না।’

ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় নয়, বরং দেশের স্বার্থে পোশাকখাতসহ রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

ঢাকার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা চালুর করার কথা বললেও, ব্যবসায়ীরা কথা রাখেননি বলে মন্তব্য তার।

সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি অনেকটাই গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল। রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ বা তার বেশি গার্মেন্টস থেকেই আসে। গার্মেন্টসটা অত্যন্ত সেনসিটিভ সেক্টর। সেখানে যদি এক সপ্তাহ ডেলিভারি দিতে না পারে বা এক সপ্তাহ দেরি হয় তাহলে কার্যাদেশ বন্ধ হয়ে যায়। দেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে—সেই বিষয়টা বিষয়টাও দেখতে হবে। এটি ব্যবসায়িক স্বার্থে নয়, পুরো বিষয়টি দেশের স্বার্থেই।’

শ্রমিক ভোগান্তির বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এক্ষেত্রে গার্মেন্টস মালিকদের আরেকটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল। সবাইকে আমি দোষ দিব না, কিন্তু যারা শ্রমিকদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন কাজে যোগদান করতেই হবে, সেই বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে একটু ভুল ছিল। তারা যেটি বলেছিলেন ঢাকার আশেপাশে বা ঢাকায় অবস্থান শ্রমিকদের নিয়ে চালু করবে, সেটি হলে এভাবে দৌড়ঝাঁপ করে শ্রমিকদের আসতে হতো না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকরা যেটা বলেছিলেন তারা ঢাকার আশেপাশে যারা শ্রমিকরা আছে তাদেরকে নিয়েই আপাতত শুরু করবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো গার্মেন্টস মালিক সেটার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদেরকে ফোন করা হয়েছে, কাজে যোগ দেয়ার জন্য। অর্থাৎ যারা ঢাকার বাইরে চলে গেছেন তাদের আসতে বলা হয়েছে।’

পোশাক মালিকদের এমন আচরণে ‘বিভ্রান্তিটা হয়েছে’ বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের সুবিধার্থে বা গার্মেন্টসে যারা কাজ করেন তাদের সুবিধার্থে গণপরিবহন চালু করা হয়েছিল কয়েক ঘণ্টার জন্য।’

রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়া সরকারের সিদ্ধান্ত

দেশের স্বার্থ রক্ষায় রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আমলারা নয়, সরকার নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

গত মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সাড়া দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সব কল-কারখানা।

পর দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে, কারখানা খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা। তার দুদিন পর আসে রোববার থেকে কারখানা খোলার ঘোষণা।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ উঠেছে রাজনীতিবিদ বা জনপ্রতিনিধিরা নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আমলারা। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, তা অস্বীকার করেন মন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি সরকারের কাছেই করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কে বসবে সেটা বিষয় নয়, সরকারের কাছে এই দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। কোনো সচিবের সঙ্গে বসলে সিদ্ধান্তটা সচিবের নয়, সিদ্ধান্তটা সরকারের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত কোনো ব্যক্তি বা সচিবদের না, এটা সরকারেরই সিদ্ধান্ত হয়, কার সঙ্গে বসেছেন সেটা বিষয় নয়। যে কারো সঙ্গেই বসতে পারে।’

১ আগস্ট থেকে কারখানা খুলে দিতে ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে আসছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘সরকার নানা দিক বিবেচনা করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন দিয়েছে, সরকার এই ঘোষণা দেয়নি, এটি কখনও শিথিল করা হবে না। লকডাউন দেবার পর সপ্তাহে সপ্তাহে বৃদ্ধি করা হচ্ছিল। এবার দুই সপ্তাহ একসঙ্গে দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর