দুর্নীতি দমন কশিনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের বদলিসংক্রান্ত কোনো আদেশ স্থগিত করেনি হাইকোর্ট।
‘দুদকের সেই কর্মকর্তার বদলির আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট’ শিরোনামে চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত। এ বিষয়ে সংশোধনী প্রকাশের জন্য ব্যবস্থা নিতে দুদকের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণ লিখেছে দুদক কর্মকর্তার বদলির আদেশ হাইকোর্ট স্থগিত করেছে। আসলে হাইকোর্ট কোনো বদলির আদেশ স্থগিত করেননি। বরং হাইকোর্ট তার আবেদনটি ডিলিট করে দিয়েছে।
‘বিষয়টি শুনে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কোর্ট আমাকে ডেকে বলেছে, আপনারা বিষয়টি দেখেন। আর আসল ফ্যাক্টটা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। এখন আসল ফ্যাক্ট হলো- দৈনিক পূর্বকোণ হাইকোর্টের আদেশটা টুইস্ট করেছে। এখন আমি অফিশিয়ালি এর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
‘সেই দুদক কর্মকর্তার বদিল আদেশ স্থগিত’ শিরোনামে গত ২৯ জুলাই চট্টগ্রামে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি সোমবার আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তখন আদালতের বিচারক বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘না, আমরা এমন কোনো আদেশ দেয়নি।’
এ সময় আইনজীবী ওই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আদালতকে দেখান। তখন আদালত দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে ডেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাজহারুল হক স্বাক্ষরিত হাইকোর্টের একটি আদেশের অনুলিপির বরাত দিয়ে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়, ‘হাইকোর্টের আদেশ বলা হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে স্বপদে বহাল রাখার আদেশ প্রদান করে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি করতে ওই আদেশে বলা হয়েছে।’
নিউজবাংলা থেকে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী মাজহারুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লিখিত অনুলিপিটি সংগ্রহ করা হয়। তাতে দেখা যায়, আইনজীবী তার সার্টিফাইড কপিতে দুই সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) লিখেছেন। কোথাও স্টে (স্থগিত) লেখা হয়নি।
এ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি পটুয়াখালীতে বদলি করে দুদক। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি ডিলিট করে দেয়।