মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে শ শ যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় আসছে এক একটি লঞ্চ। শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে সোমবার সকালে লঞ্চ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নামতে দেখা যায় তাদের।
নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চালু রাখার কথা থাকলেও এই নৌপথের কর্মকর্তারা জানালেন, এখানে লঞ্চ চলবে দুপুর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া পোর্ট অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ৮৭টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি থাকলেও আজ ৫৪টি লঞ্চ চলবে। সোমবার দুপুর ১২টার পর লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
লঞ্চ সচল থাকায় চাপ কমেছে ফেরিঘাটে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, সচল আছে ৯টি ফেরি। গত দুইদিনের চেয়ে যাত্রী কমেছে অনেকটাই। এ কারণে যানবাহন পারাপার হচ্ছে নির্বিঘ্নে।
এই নৌপথে চাপ থাকলেও যাত্রী বা যানবাহনের আধিক্য নেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সোমবার সকালে দেখা যায়নি বাস-ট্রাকের সারি।
চলাচলের অনুমতি না থাকলেও নদী পার হতে আসছে যাত্রীবাহী কিছু বাস। কোনো বাধা বা ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে উঠছে সেগুলো।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রী চাপ দেখা যায়নি। ছবি: নিউজবাংলাবাসযাত্রীদের অভিযোগ, দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েও প্রতি সিটে বসানো হচ্ছে লোকজনকে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শাকিব সরদার কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফিরছেন। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন চালু থাকার কারণে আসতে তেমন ভোগান্তি হয়নি। ঘাটে এসেও সরাসরি ফেরিতে উঠতে পেরেছি। তবে বাসগুলোতে একটু ভিড় আছে। প্রত্যেক সিটেই লোক নিচ্ছে। আবার ভাড়াও নিচ্ছে ডাবল।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ম্যানেজার জামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে যাত্রী এবং গাড়ির সিরিয়াল না থাকায় এখন ৯টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথেও চলছে লঞ্চ। তবে অতিরিক্ত যাত্রী দেখা যায়নি লঞ্চগুলোতে।