বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৪ দিনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ মন্ত্রীর

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০৬

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীবাসীকে মশামুক্ত রাখতে মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করে একটি সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছাতে হবে।

দুই সপ্তাহের মধ্যে এডিস মশা নির্মূল করে ডেঙ্গু সহনীয় পর্যায়ে আনতে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে 'ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণ' বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আইইডিসিআরের ভবিষ্যৎ বাণী ছিল ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ডেঙ্গু রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা তিনগুণ বেশি হবে। সবার প্রচেষ্টায় তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন এডিস মশার ঊর্বর সময় হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

এডিস মশার লার্ভার উৎস নিধনে সোমবার থেকে ডিএসসিসি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।মন্ত্রী তাজুল বলেন, রাজধানীবাসীকে মশামুক্ত রাখতে মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করে একটি সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছাতে হবে।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা হচ্ছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বারবার সচেতন করার পরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। সরকারের কাজ মানুষকে সচেতন করা এবং সেই কাজ সরকার প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, ‘মানুষ যদি সচেতন না হয়ে এডিস মশার প্রজননে ভূমিকা রাখেন, তবে সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবেন। নানা সমস্যায় ভুগবেন আর চিৎকার করে সরকারকে দোষ দিবেন। এটি সমীচীন হবে না। আপনারা নিজে সচেতন না হলে সরকার রক্ষা করতে পারবে না।’

মন্ত্রী বলেন, অনেক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আসল ঠিকানা গোপন রাখছেন। এতে এডিস মশা নিধনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ যেখানে রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এটা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

সভায় ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘উৎস নিধন ছাড়া এডিস মশা নির্মূল সম্ভব না। আমরা এখন সে উৎস নিধনে ঘরে ঘরে যাবো।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কিত তথ্য দিতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তাপস।

ডেঙ্গু লার্ভার প্রজননস্থল সম্পর্কে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে তথ্য দিতে ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও ০২৯৫৫৬০১৪ নম্বরে ফোন করারও অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র।

দক্ষিণ সিটির মেয়র তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্বেই স্বীকৃত পন্থা হলো উৎস নিধন। সোমবার থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর