বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ বছরে গ্রেপ্তার ২২০০

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৪৭

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেয়া হয়েছে। গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি। ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়, ইয়াবার ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।’

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপতৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই বছরে ২ হাজার ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

এ বছরের মধ্যেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া, ওয়াকওয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এসব কাজ শেষ হলে ক্যাম্পের শৃঙ্খলার আরও সহজ হবে বলেও মনে করেন আইজিপি।

সচিবালয়ে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেয়া হয়েছে। গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি। ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়, ইয়াবার ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।’

সেনা সহায়তায় ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে আছে বলেও জানান তিনি।

আইজিপি বলেন, ‘এটা শেষ হলে, ক্যাম্পে এখন যে অবাধ চলাচলের বিষয় আছে সেটি বন্ধ হবে। এই বেড়ার বাইরে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, এটা তৈরি করা হলে আমাদের পক্ষে ক্যাম্পের বাইরে টহল দেয়া সুবিধা হবে। ক্যাম্পের বাইরে কিছু ওয়াচটাওয়ার তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

তবে বর্ষার কারণে কাজের গতি একটু কম জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আমরা আশা করছি বেড়া দেয়া, ওয়াকওয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার এ বছরের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এসব কাজ শেষ হলে ক্যাম্পের শৃঙ্খলার জন্য আরও সুবিধা হবে।’

ক্যাম্পে খাদ্য নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে স্বীকার করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেন জানান আইজিপি।

তিনি বলেন, ‘সেখানে স্থানীয়ভাবে ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি, আইওএম কাজ করে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আরআরআরসি কাজ করছে। সমস্যা নিরসনে সবাই কাজ করছে। আমি মনে করছি শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এক প্রশ্নে বেনজীর বলেন, ‘সেখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আগে যেখানে চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে দুই হাজার ২০০ জন কাজ করতেন, এদেরকে সাময়িকভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে নিয়োগ করা হতো। তিন মাস পর পর রোটেট করা হতো। এ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে নতুন করে একটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে আরও একটি ব্যাটালিয়নকে রিলোকেট করেছি। এখন তিনটা ব্যাটালিয়ন ওখানে ৩৪টি ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। আমরা ৩৪টি ক্যাম্পকে ক্লাস্টারে পুনর্বিন্যস্ত করেছি, একেকটা ক্লাস্টারের দায়িত্ব একেকটা এপিবিএন ক্যাম্পকে দেয়া হয়েছে। ওখানে ২২টি এপিবিএন ক্যাম্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুবিধায় গাড়ি, মোটরসাইকেল পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি গাড়ি ইউএনএইচসিআর দিয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে এখন রাতেও টহল দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। ওই অঞ্চলে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী কাজ করে।

‘রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন রয়েছে। তারা ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহল দিচ্ছে। সেখানে যে তিনটি ব্যাটালিয়ন কাজ করে কক্সবাজার শহরে, সেগুলোকে উখিয়া ও টেকনাফে নিয়ে যাব। যৌথ বাহিনীর টহলের জন্য এসওপিও করার কাজ চলছে।’

রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলো মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে বলেও জানান বেনজীর আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর