কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রোববার খোলা হলো রপ্তানিমুখী শিল্প ও কল-কারখানা। কাজে ফিরতে শুক্রবার থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ ছিল ফেরিঘাটগুলোতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ সয়ে ফেরিতে চড়ে ফিরেছেন তারা।
এরইমধ্যে শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘবে শনিবার রাতে ঘোষণা আসে, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে গণপরিবহন। এরপর থেকে ফেরিঘাটে চাপ কমেছে অনেকটাই। লঞ্চঘাটে বেড়েছে ভিড়।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে রোববার সকালে দেখা গেছে, ফেরিতে যাত্রী খুবই কম।
লঞ্চঘাটে দেখা গেছে, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোর প্রতিটিই ছিল যাত্রীভর্তি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাট সূত্র জানায়, এই নৌপথে সকাল থেকে ৮৬টি লঞ্চ চলছে। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়েই লঞ্চগুলো পারি দিচ্ছে পদ্মা।
তবে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহন পেয়ে যাওয়া যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে।
লঞ্চঘাটে কথা হয় মাজেদা বেগমের সঙ্গে। তিনি নারায়ণগঞ্জ একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
তিনি জানান, লঞ্চে উঠতে তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি। শিমুলিয়ায় নেমে বাস পেয়ে গেছেন।
রুহুল মিয়া এসেছেন বরিশাল থেকে। তিনি জানান, দুই হাজার টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে। তবে সেখানে এসেই লঞ্চ পেয়েছেন। এখন বাসে করে রাজধানী যাবেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব রহমান জানান, এই নৌপথে এখন ছোট বড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। আজও ফেরিতে যাত্রীরা আসছে। তবে লঞ্চ চালু হওয়ায় সে চাপ অনেকটাই কমেছে।
তিনি জানান, শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকই বেশি।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেইমান জানান, ৱ৮৬টি লঞ্চ বাংলাবাজার থেকে যাত্রী আনছে। দক্ষিনবঙ্গগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। নির্দেশ মেনে দুপুর পর্যন্ত সব লঞ্চ চলবে।
বাংলাবাজার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আসায় এই ঘাটে চারটি লঞ্চকে ৫০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান।
এদিকে, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে রোববার দেখা যায়নি যাত্রীর চাপ। ঘাটে কিছু বাস দেখা গেছে। সেগুলোতেও যাত্রী নেই তেমন।
নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার রাত থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলছে। সেগুলোও প্রায় ফাঁকা সকালে। ঘাট এলাকায় নেই কোনো যানবাহনের সিরিয়াল।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, এই মূহুর্তে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ১২টি ফেরি চলছে। গাড়ি এসেই ফেরি পেয়ে যাচ্ছে। তাই কোনো জটলা নেই।