বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ঢাকামুখী সড়কে ধীরগতি

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২১ ০৯:৪৯

মহাসড়কের রাবনা, বেথইর, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পুংলি ও এলেঙ্গায় ঢাকামুখী যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ছোট যানে দেখা গেছে যাত্রীদের। যে যার মতো গন্তব্যে ফিরছেন। 

ঈদ-পরবর্তী শাটডাউনের মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে রোববার। এসব কারখানার কর্মীরা শনিবার দিনভর হেঁটে, ছোট পরিবহনে করে এসেছেন ঢাকায়।

তাদের চরম দুর্ভোগের পর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তথ্য অধিদপ্তর জানায়, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে গণপরিবহন। সে সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে মহাসড়কে।

সকাল থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীর চাপ পড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে।

দীর্ঘ সময় গরমে বসে থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।

মহাসড়কের রাবনা, বেথইর, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পুংলি ও এলেঙ্গায় ঢাকামুখী যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ট্রাক, পিকআপভ্যাান, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ছোট যানে দেখা গেছে যাত্রীদের। যে যার মতো গন্তব্যে ফিরছেন।

মহাসড়কের এই অংশে দেখা যায়নি পুলিশ বা প্রশাসনের উল্লেখ করার মতো তৎপরতা।

এ বিষয়ে জানতে মহাসড়‌কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগা‌যোগ করা হ‌লেও পাওয়া যায়নি।

বঙ্গবন্ধু সেতুর সিরাজগঞ্জ অংশের পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে মুলিবাড়ী থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকাতেও সকাল থেকে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। বাস চলাচল করলেও তাতে যাত্রী দেখা গেছে কম। বেশিরভাগ যাত্রীই পণ্যবাহী ট্রাকে চড়ে ঢাকা যাচ্ছেন।

বগুড়া থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসে ঢাকা যাচ্ছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, গণপরিবহন খুলে দেয়ার খবরে স্বস্তি পেয়েছেন। তবে রাত ১২ টায় বাসে উঠে সকাল সাড়ে ৯টা কড্ডার মোড় পর্যন্ত পৌঁছেছেন। রাজধানী ফিরেই কাজে যোগ দিতে হবে বলে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

ট্রাকের চড়ে ঢাকা ফিরছেন পোশাকশ্রমিক স্বপ্না খাতুন। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে আমাকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী গার্মেন্টসে কাজে যোগ দিতে হবে। তাই ভোর রাত ৩টায় স্বামী সন্তানকে নিয়ে ট্রাকে উঠেছি। এখনো সেতু পাইনি। কখন যাবো বুঝে উঠতে পারছি না। ঈদের আগে আসতেও অনেক কষ্ট হয়েছে, আবার যেতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে। যত কষ্ট এই গরিব মানুষের।’

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী নিউজবাংলাকে জানান, মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। এ ধীরগতি থেকে মাঝে মধ্যে কিছু জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর