এক সপ্তাহে কোটি টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহার অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা গ্রহণের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এক সপ্তাহে এক কোটির বেশি টিকা প্রয়োগের টার্গেট নেয়া হয়েছে। প্রথমেই বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এর অংশ হিসেবে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
‘এখন টিকা মজুত আছে যথেষ্ট। আমরা গ্রামগঞ্জে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রায় ১৩ হাজার ৮০০ বুথে টিকা দেয়া হবে। আশা করছি, আমরা যে টিকা দেব সেটা সপ্তাহব্যাপী একটা কার্যক্রম। এর মধ্যে এক কোটির বেশি টিকা আমরা দিতে সক্ষম হব। এটি আমাদের টার্গেট। অনেক বড় টার্গেট।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই টিকাদান কর্মসূচিতে ৪০-৫০ হাজার লোক কাজ করবে। আমরা এবার প্রথমেই বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার চেষ্টা করব।’
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকেই সহাযোগিতা করে আসছে। এ টিকা পেয়ে আমরা খুবই খুশি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা আজ পেয়েছি। আগামীতে আরও আসবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
‘বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৩ লাখ টিকা পেয়েছিল ভারত থেকে। এই টিকা সর্বোচ্চ ৫১ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে দেয়া সম্ভব। কিন্তু প্রথম ডোজই দিয়ে দেয়া হয় ৫৮ লাখের বেশি মানুষকে। এতে টান পড়ে দ্বিতীয় ডোজে। প্রথম ডোজ পাওয়ার পর ১৪ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় ছিলেন। এ টিকা পেতে বাংলাদেশ মরিয়া ছিল।’
ড. মোমেন বলেন, ‘জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সাক্ষাৎ হয়। তারই সহযোগিতায় আজ আমরা টিকা পেলাম। জাপান সরকারকে ধন্যবাদ।
‘করোনা এখন পুরো বিশ্বের সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টিকা অবশ্যই সবার জন্য উন্মুক্ত হতে হবে। শুধু টিকা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি জাপানের সহযোগিতা নিয়ে।’
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি উপস্থিত ছিলেন।