হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে র্যাব-১ রাজধানীর গুলশান থানায় আরেকটি মামলা করেছে।
শুক্রবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ ক্ষমতা আইন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ ও বণ্যপ্রাণী আইনের অধীনে এ মামলা করা হয়।
এর আগে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। প্রথম মামলায় এরই মধ্যে তাকে আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘র্যাব-১ হেলেনার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) ও ২৪(খ) ধারা, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ B এর ১(B), ২০০১ সালের বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধনী/২০১০) এর ৩৪ (খ) এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন এর ৩৪(খ) ধারায় অপর একটি মামলা করেছে।’
এর আগে শুক্রবার বিকেলে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১-এর অভিযানে ২৯ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নং রোডের ৫ নং বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয় ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ১টি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, ১টি হরিণের চামড়া, ২টি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেকবই ও বিদেশি মুদ্রা, ২টি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস। পরবর্তী সমযে মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গৃহবধূ থেকে ব্যবসায়ী হয়ে সিআইপির (কমার্শিয়ালি ইমপর্টেন্ট পারসন) স্বীকৃতি পাওয়া এই ব্যবসায়ী সম্প্রতি তুমুল আলোচিত হয়ে ওঠেন ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের প্রচার চালাতে গিয়ে। আওয়ামী লীগের এই নামে কোনো সংগঠন নেই। সে জন্য তিনি এই সংগঠনকে সামনে নিয়ে আসার পর ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের পদ হারান হেলেনা। ক্ষমতাসীন দলের মহিলাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যপদ ছাড়াও কুমিল্লা উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টার পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। ওই ঘটনায় পিছুটান দেন হেলেনা। বলেন, তিনি ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে এই সংগঠনের কেউ না। তাকে সম্প্রতি সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।