বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোববার থেকে খোলা রপ্তানিমুখী শিল্প

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২১ ১৮:৩৫

৫ আগস্ট পর্যন্ত কলকারাখানা বন্ধ রাখার কথা জানালেও, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে পিছু হটেছে সরকার। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রোববার অর্থাৎ ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও রোববার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে গার্মেন্টসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা।

৫ আগস্ট পর্যন্ত কলকারাখানা বন্ধ রাখার কথা জানালেও, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে পিছু হটেছে সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী সব শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রোববার অর্থাৎ ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

ঈদের আগে অপর এক প্রজ্ঞাপনে খাদ্য, চামড়া ও ওষুধ শিল্পকে বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখার কথা জানায় সরকার।

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান শাটডাউনের সময়সীমা আবারও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শাটডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সকালে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ক্যাবিনেটে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় কী—এ বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকেই তো আমরা চলমান লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলাম। তবে এ বিষয়ে এখনও সরকার সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আজ আবার গণমাধ্যমে দেখলাম শিল্পকারখানাগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।’

কোরবানি ঈদের একদিন পর থেকে আবারও কঠোর শাটডাউনে রয়েছে দেশ। এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ছবি: নিউজবাংলা

পশুর হাট ও ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আট দিনের জন্য লকডাউন শিথিল করে সরকার। ঈদ ছুটির পরই টানা ১৪ দিনের লকডাউন দেয়া হয় সারা দেশে। ১৫ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিঠিও দেন তারা।

চিঠিতে পোশাকশিল্প মালিকরা বলেছেন, ‘ঈদের ছুটি সংক্ষিপ্ত করে দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাগুলো যত দ্রুত সম্ভব ঈদের পরে খুলে দিলে দেশের রপ্তানি খাত বহুমুখী বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাবে।’

কিন্তু করোনার তীব্র সংক্রমণের মধ্যে তাদের আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। গত মঙ্গলবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাবিষয়ক এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ‘আমাদের যে লকডাউন চলছে এটা চলতেই থাকবে। আমাদের যে টার্গেট ৫ আগস্ট পর্যন্ত সেই ৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। যদিও আমাদের শিল্পপতিরা এবং আরও অনেকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, আমরা সেই রিকোয়েস্ট বোধহয় গ্রহণ করতে পারছি না।’

তার দুইদিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আবারও গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানায় ব্যবসায়ী নেতারা। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনুরোধ জানান তারা।

এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম সমস্ত বিজনেস পাইপ থেকে। এই যে লকডাউনটা আছে, এটা থেকে যেন সব ধরনের শিল্পকে কাজ করতে সুযোগ দেয়া হয়। এটাই আমরা ওনার কাছে অনুরোধ করতে আসছি।’

‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওনার মাধ্যমে এই অনুরোধটা আমরা করেছি। তিনি বলেছেন, উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কথা বলে এই ডিসিশনটা খুব তাড়াতাড়ি দেবেন।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি, সংক্রমণ, মৃত্যু সবকিছু মাথায় নিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার এটা বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা করি।’

এ সময় দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আমাদের কনসার্নটা বলেছি, ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ থাকলে কী প্রবলেম হচ্ছে। কারণ সাপ্লাই চেইনটা ভেঙে যাচ্ছে। পোর্টে জটের কথা আপনারা সবাই জানেন। আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর আশঙ্কা আছে আমাদের। লাস্ট, আমাদের লোকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোতেও সাপ্লাই চেইনে প্রবলেম হচ্ছে।’

তার পরদিনই ব্যবসায়ীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়ার ঘোষণা দিল সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর