বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদের আগে ও পরে ১৫ দিনে দুর্ঘটনায় ২৯৫ মৃত্যু

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২১ ১৫:১৫

ঈদের আগে ও পরের ১৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। যদিও লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এ সংখ্যা কম হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল।

ঈদুল আজহার আগে ও পরে সড়কপথে যাতায়াতের সময় ২৪০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৭৩ জন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে ৪৪৭ জন। রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনায় মারা গেছে আরও ২২ জন। গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ঈদযাত্রার সময়কালে লকডাউন শিথিল করায় মাত্র ৮ দিন গণপরিবহন চলেছে। অন্য ৭ দিন গণপরিবহন বন্ধ ছিল। সে মোতাবেক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কম হওয়ার কথা। অথচ ১৫ দিনে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ২৬২টি দুর্ঘটনায় ২৯৫ জন নিহত ও ৪৮৮ জন আহত হয়েছে।

ঈদযাত্রা শুরুর দিন গত ১৪ জুলাই থেকে ঈদ শেষে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে উদ্বেগজনক চিত্র। এ সময় সড়কপথে ঘটেছে ২৪০টি দুর্ঘটনা। এতে ২৭৩ জন নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছে। এ সময়ে রেলপথে ৯টি ঘটনায় ১১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত, ৫৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

দুর্ঘটনার মধ্যে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ফিডার রোডে এবং শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

আগের ৫ বছরের তুলনায় বেশি মৃত্যু

ঈদের আগে ও পরের ১৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। যদিও লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এ সংখ্যা কম হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল।

সমিতির দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালে ১৯৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৫৬ আহত হয়। ২০১৭ সালে ২১৪ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৪ জন নিহত হয়, আহত হয় ৬৯৬ জন।

২০১৮ সালের একই সময়ে ২৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ২৫৮ জন ও আহত ৯৬০ জন। ২০১৯ সালে ২০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২৪ নিহত ও আহত ৮৬৬ জন। ২০২০ সালে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত ও আহত ৩৩১ জন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকার সড়কের অবকাঠামো উন্নয়নে যতটা মনোযোগী, সড়ক নিরাপত্তায় ততটা উদাসীন। বিগত এক যুগে ধারাবাহিকভাবে সড়ক নিরাপত্তায় নানা প্রতিশ্রুতি, নানা চমকপ্রদ বক্তব্য, নানা আশ্বাস, নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর