সরকার গঠন করা বা ক্ষমতায় আসা ভোগ-বিলাসের বিষয় নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা বিরাট দায়িত্ব।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে অবদান রাখায় ২০২০ ও ২০২১ সালের জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে অবদান রাখায় ৯ এবং ২০২১ সালে ১৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জনপ্রশাসন পদক দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গঠন করা বা ক্ষমতায় আসা এটা শুধু ভোগ-বিলাসের বিষয় না। আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি বলে যে মহা কিছু হয়ে গেছি, তা না। এটা একটা বিরাট দায়িত্ব।
‘সেই সাথে আমার যারা সহকর্মী, বিশেষ করে সরকারি কর্মচারী, তাদেরও দায়িত্ব। কারণ, বাংলাদেশের জনগণ তারাই তো আপনাদের ভরণপোষণ, খাবার জোগান তারাই তো করেন; আমাদের সকলের জন্যই করেন। তাদের জন্য আমরা কতটুকু কী করতে পারলাম, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। তাদের সার্বিক উন্নয়নটাই হলো আমাদের সকলের দায়িত্ব, যে যখনই সরকারে আসুক। এটা যদি না হয় তাহলে কিন্তু একটা দেশ এগোতে পারে না।’
সরকারের কর্মকাণ্ড মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করায় জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আজকে এত অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যে এত উন্নয়ন করলাম, আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের সরকারি অফিসার ও কর্মচারীদের। প্রত্যেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন। আমরা যে পরিকল্পনাগুলি নিয়েছি, সেগুলি বাস্তবায়ন করেছেন।
‘মানুষ তার শুভফলটা পেয়েছে বলেই এ দেশের উন্নয়নটা হয়েছে। এটা যদি না হতো এত তাড়াতাড়ি আমরা কখনোই উন্নতি করতে পারতাম না। আমি মনে করি জনপ্রশাসনে যারা আছেন, জনগণের সেবা করা, জাতির পিতাও আমাদের সেই নির্দেশই দিয়েছেন। জনগণের সেবা করা হলো সবচেয়ে বড় কাজ।’
তিনি বলেন, ‘যাদের নিয়ে আমরা কাজ করব তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং কাজগুলি যেন তারা সঠিকভাবে করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। সেই সাথে কাজের একটা মুল্যায়ন করা বা স্বীকৃতি দেয়া। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কতগুলি পদক্ষেপ নিই।
‘আপনারা জানেন যে ২০০৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ২৩ জুন বিশ্বব্যাপী পাবলিক সার্ভিস দিবস পালিত হবে। আমরা সেই দিবসের কথা স্মরণ করেই ২৭ জুলাইকে পাবলিক সার্ভিস দিবস ঘোষণা করি। এ উপলক্ষে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আমরা তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একটি পুরস্কারেরও পদক্ষেপ আমরা নিই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমরা যারা ভালো কাজ করবে, যাদের ভেতরে নতুন নতুন প্রণোদনা আছে, ইনোভেটিভ আইডিয়া আছে বা দেশের কল্যাণের জন্য যারা কাজ করবেন, তারা পুরস্কৃত হবেন। এই জনপ্রশাসন পদক এই ভালো কাজের স্বীকৃতি এবং প্রণোদনা দিতে আমরা করেছি।
‘করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কাজই আমরা সঠিক সময়ে করতে পারছি না। ২৩ জুলাইয়ের পরিবর্তে আজ আমরা এটা করছি।’