করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার তাদের মৃত্যু হয়। তাদের একজন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন। অপরজন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ এনামুল হক।
নির্বাচন কমিশন বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই নিয়ে তাদের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। আর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৫৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন। অন্যরা চিকিৎসাধীন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন রাজশাহীতে, ৩৫ জন। এ ছাড়া খুলনায় ২৬, সিলেটে ১১, চট্টগ্রামে ১৩, কুমিল্লায় ১১, বরিশালে ১২, রংপুরে ১০ এবং ঢাকা ও ফরিদপুরে ৭ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
চলমান শাটডাউনেও জরুরি সেবার আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ চালু রেখেছে ইসি। এই সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা অব্যাহত রাখতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইসির এক বৈঠকে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে সেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকা মহানগরে প্রতি মঙ্গলবার ও ঢাকার বাইরে প্রতিদিন এনআইডির সেবা দেয়া হচ্ছে।
ইসির নির্দেশনায় বলা হয়, এনআইডি সেবায় কোনো ছাড় নেই। জরুরি সেবাটি অব্যাহত রাখতে হবে। প্রবাসী, ছাত্র-ছাত্রী, বিদেশ গমনেচ্ছু ও করোনার টিকা কার্যক্রমের জন্য এনআইডি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ছাড়া উপায় নেই।
ইসির এনআইডি শাখা থেকে সম্প্রতি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে জরুরি জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
এমন অবস্থায় মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য বিকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দিয়ে তা সচিবালয়ের জনবল অধিশাখাকে জানাতে বলা হয়েছে।
ইসির যুগ্মসচিব আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এনআইডি এখন জরুরি সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কার্যক্রম তো অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আমরা ঢাকা মহানগরে প্রতি মঙ্গলবার অফিস খোলা রেখে সেবা দিচ্ছি। অন্যান্য দিন হোম অফিস চলছে।’