বার কাউন্সিলের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর কোনো কারণে ভোট না হলে এক বছরের জন্য সরকারিভাবে অ্যাডহক ভিত্তিতে কমিটি করে দেয়ার বিধান যুক্ত করে আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সরকার গঠিত কমিটিটি ১৫ সদস্যের হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা অল টুগেদার এক বছরের বেশি থাকতে পারবে না। এক বছরের মধ্যে তারা ইলেকশন করে দেবে।’
এদিন ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন তিনি। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১৯৭২ সালের বার কাউন্সিল অর্ডার আইনে বলা আছে, বার কাউন্সিলে ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তিন বছরের জন্য কমিটি নির্বাচিত হবে।
তিনি বলেন, ‘গত এক দেড় বছরে যে প্যানডেমিক সিচুয়েশন তাতে ইলেকশন করা সম্ভব হয়নি।’
মহামারি বা কোনো বিশেষ পরিস্থিতে ভোট না হলে বিকল্প কী হবে, সেটার কোনো ব্যাখ্যা আইনে ছিল না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘সামহাউ ওই আইনটার মধ্যে কোনো অল্টারনেটিভ ছিল না। যদি কোনো কারণে ইলেকশন না হয়, রাষ্ট্রীয় কারণে বা আইনশৃঙ্খলার কারণে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে- এসব ক্ষেত্রে কী করণীয় সেটা আগের আইনে ছিল না।’
এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে আইন মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার কাউন্সিলের ৩১ মের ডেট শেষ হয়ে গেছে। ওনারা একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছেন। এটা হলো যে, এক বছরের অ্যাডহক কমিটি সরকার করে দিতে পারবে- এরকম একটা বিধান নিয়ে আসছে। এটা ম্যাক্সিমাম এক বছর থাকতে পারেবে।’