বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতুর পিলার রাবারে মোড়ানোর পরামর্শ

  •    
  • ২৫ জুলাই, ২০২১ ২২:০৫

‘এটা করলে যদি কখনও কোনো ফেরি এসে পিলারকে ধাক্কা দেয়, তাহলে রাবারের ওপর আঘাত লাগবে, মূল পিলার আঘাত পাবে না। এতে ফেরিরও ক্ষতি হবে না, পিলারেরও ক্ষতি হবে না।’

ফেরি বা অন্য কোনো জলযানের সংঘর্ষ থেকে নিরাপদে রাখতে পদ্মা সেতুর পিলারগুলো রাবার দিয়ে মোড়ানোর পরামর্শ এসেছে। সম্প্রতি সেতুর পিলারের সঙ্গে একটি রো রো ফেরির ধাক্কার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি এ পরামর্শ দিয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনে (বিআইডব্লিউটিসি) রোববার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এই কমিটি। এতে পদ্মা সেতুর পিলারের নিরাপদে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে। এর একটিতে পিলারগুলো প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।

সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে গত শুক্রবার ‘শাহজালাল’ নামে রো রো ফেরির সংঘর্ষ হয়। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি।

ঘটনা তদন্তে শুক্রবারই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিআইডব্লিউটিসি। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এস এম আশিকুজ্জামানকে। অপর তিন সদস্য হলেন বিআইডব্লিটিসির এজিএম (মেরিন) আহমেদ আলি, এজিএম (প্রকৌশল) রুবেলুজ্জামান এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক মো. শাহজাহান।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলামের কাছে রোববার দুপুরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পেছনে রয়েছে রো রো ফেরিটির ইনচার্জ মাস্টার আব্দুর রহমান খান ও সুকানির সাইফুল ইসলামের দায়িত্বহীনতা।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করে কমিটির প্রধান এস এম আশিকুজ্জামান বলেন, ‘তদন্ত টিম নিয়ে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। যে বিষয়গুলো দেখা দরকার ছিল, কী কারণে জাহাজটি ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেল; তার পূর্ব অবস্থায় জাহাজের পজিশন কী ছিল; জাহাজের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা কোথায় ছিলেন?’

সম্প্রতি পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায় রো রো ফেরির একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা

সব দিক বিবেচনা করেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইনচার্জ মাস্টার ছিলেন আব্দুর রহমান খান এবং সুকানি সাইফুল ইসলাম। ওনাদের দায়িত্বহীন পরিচালনা ও অদক্ষতায় অর্থাৎ তাদের দক্ষতা তারা সঠিক সময়ে দেখাতে পারেননি। যার কারণে এই দুর্ঘটনাটা ঘটে।’

তদন্ত প্রতিবেদনে কমিটি তিনটি সুপারিশ করেছে উল্লেখ করেন আশিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যেটা সুপারিশ করেছি, সেখানে বলেছি বর্তমান যে শিমুলিয়া ফেরিঘাট আছে, সেই ঘাটটি সরিয়ে পুরোনো মাওয়া ঘাটে নিয়ে যাওয়া। সে ক্ষেত্রে ব্রিজ ক্রস করতে হবে না। পুরোনো মাওয়া ঘাট থেকে ফেরি বাংলাবাজার চলে যাবে।

‘আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, বাংলাবাজার ফেরিঘাটকে সরিয়ে মাঝিরঘাটে নিয়ে আসা। সে ক্ষেত্রেও ব্রিজ ক্রস করতে হবে না। ব্রিজ যেহেতু ক্রস করতে হবে না, তাই আগামীতে দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা থাকবে না।’

তৃতীয় সুপারিশ সম্পর্কে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর যে পিলার আছে সেগুলোকে মোটা মোটা রাবার দিয়ে (রাবার টেন্ডার) সেন্টারাইজ করা। এটা করলে যদি কখনও কোনো ফেরি এসে পিলারকে ধাক্কা দেয়, তাহলে রাবারের ওপর আঘাত লাগবে, মূল পিলার আঘাত পাবে না। এতে ফেরিরও ক্ষতি হবে না, পিলারেরও ক্ষতি হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর