কঠোর শাটডাউনের তৃতীয় দিনে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট অনেকটাই চাপমুক্ত। সেখানে রোববার সকাল থেকে দেখা যায়নি যাত্রী ও যানবাহনের অপেক্ষা।
তবে ওই পাড়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে রোববারও ঢাকামুখী যাত্রীদের জড়ো হতে দেখা গেছে। তারা ফেরিতে চড়েই ঘাট ছাড়ছেন।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরিগুলো অল্প কিছু যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নদী পাড়ি দিয়েছে সকালে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, এই নৌপথে এখন চলছে ৬টি ফেরি। যাত্রী ও যানবাহন কম থাকায় ফেরিগুলোকে ঘাটে ভিড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বেশ কিছুটা সময়। তবে বাংলাবাজার থেকে যেসব ফেরি আসছে, তাতে যাত্রী এবং ছোট যানবাহনের চাপ রয়েছে।
বিধিনিষেধের মধ্যেই বাংলাবাজার ঘাটে রোববার সকাল থেকেই ভিড়ছেন রাজধানীমুখী যাত্রীরা। পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে ছোট যানবাহনে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। কোনো বাধা ছাড়াই উঠছেন ফেরিতে।
ঢাকাগামী মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমি ঢাকায় বিমা কোম্পানিতে জব করি। আজ অফিস খোলা। তাই ঢাকা যাচ্ছি। গোপালগঞ্জ থেকে ভেঙে ভেঙে মাহিন্দ্র গাড়িতে ঘাটে আসছি। আসতে কোনো সমস্যা হয়নি।’
ঘাট এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি আছে বিভিন্ন পয়েন্টে। ঘাটের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে পুলিশের বাধায় ছোট ছোট যানবাহন ফিরে যাচ্ছে। তারপরও যাত্রীরা বিকল্প পথে, অনেকে হেঁটে ঘাটে আসছেন।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, যাত্রীবাহী সব পরিবহন পারাপার বন্ধ। অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লাশবাহী গাড়ি এবং জরুরি প্রয়োজনে যাওয়া ব্যক্তিগত যানবাহন পার করা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনেরা পার হতে পারছেন।
তবে কিছু যাত্রী ফেরিতে উঠে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।