বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউনে ইউএনওর ‘নৌকাবিলাস’

  •    
  • ২৪ জুলাই, ২০২১ ২৩:০৭

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আজমপুরের খেয়াঘাট থেকে ইউএনওসহ তার পরিবারের লোকজন এবং উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া স্বপনের পরিবার নৌকা ভ্রমণে যান। ওই সময় শিশুসহ অন্তত ১৫ জনকে এক নৌকায় চড়তে দেখা গেছে।

সারা দেশে চলমান ‘সবচেয়ে কঠোর’ লকডাউনে বাইরে ঘোরাঘুরি ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে লকডাউনে পরিবার নিয়ে নৌকা ভ্রমণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু ইউএনওর পরিবার নয়, তাদের সঙ্গে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের পরিবারও ছিল।

পরিবার নিয়ে নৌকা ভ্রমণের কথা স্বীকার করেছেন ইউএনও রুমানা আক্তারও। তবে তার দাবি, জাইকার একটা প্রজেক্ট দেখতে গিয়েছিলেন। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সদস্যরা তার কাছে থাকায় তাদের নিয়ে যান।

বিধিনিষেধের মধ্যে খোদ সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধির এমন কাণ্ডে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আজমপুরের খেয়াঘাট থেকে ইউএনওসহ তার পরিবারের লোকজন এবং উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া স্বপনের পরিবার নৌকা ভ্রমণে যান। ওই সময় শিশুসহ অন্তত ১৫ জনকে এক নৌকায় চড়তে দেখা গেছে। সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছেন নৌকায় থাকা একজনই।

খেয়াঘাটের রাস্তা আটকে রাখা ইউএনওর গাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা

নৌকা ভ্রমণের সময় ঘাটের অপ্রশস্ত রাস্তায় ইউএনও সরকারি গাড়ি রাখায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডাও হয়।

তারা জানান, ইউএনওর গাড়ি সড়কের অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছিল। যার কারণ পথচারীসহ অন্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

ওই সময় শরীফ নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী গাড়িগুলো সরাতে অনুরোধ জানালে তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়। যেই ব্যক্তি ভিডিও করছিলেন তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ ইউএনওর গাড়ি এখানে থাকবে ততক্ষণ কেউই যেতে পারবেন না।’

উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কাজী ইউসুফ বলেন, ‘রাস্তাটি এমনিতেই ছোট। তার ওপর গাড়ি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা নিয়ে আমার ভাতিজা ও এলাকার ছেলেদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের তর্কাতর্কি হয়েছে বলে শুনেছি।

‘তবে তারা কোথায় যাচ্ছিলেন, সেটি নির্দিষ্ট করতে বলতে পারছি না। তবে শুনেছি কোনো এক প্রজেক্টের কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন।’

নৌ ভ্রমণের আয়োজক ইউপি চেয়াম্যান স্বপন পরিবার নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের এলাকার খেয়াঘাটে ইরিগেশন প্রকল্প দেখতে এসেছিলেন ইউএনও। পরে এখানে একটি বিনোদন স্পট করা যায় কি না, সেটি দেখানোর জন্য ইউএনওকে নিয়ে যাওয়া হয়।’

লকডাউন উপেক্ষা করে নৌকা ভ্রমণে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ইউএনও রুমানা আক্তার বলেন, ‘জাইকার একটা প্রজেক্ট দেখতে আমি সেখানে যাই। যেহেতু আমার পরিবারের লোকজন ঈদ উপলক্ষে আমার এখানে ছিলেন, সেহেতু তাদের নিয়ে গেছি।

‘আমার তো একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। আমি তাদের সময় দিতে পারছি না বলে নিয়ে গেছি।’

এটা নিয়ে নিউজ করার কী আছে বলে ক্ষোভও প্রকাশ করেন সরকারের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর